ওয়েবসিরিজ সন্ত্রাসকে প্রায় বাস্তবে নিয়ে এলেন এক বেসরকারি স্কুলের অধ্যক্ষ। বাস্তবের ঘটনাস্থল ভারতের উত্তরপ্রদেশের মির্জাপুর। দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রের পা ধরে তিনি ঝুলিয়ে রাখলেন স্কুলের সর্বোচ্চ তলার বারান্দা থেকে।
ছাত্র একটু বেশিই দুষ্টু। উচিত শিক্ষা দিতে তাকে অন্যরকম শাস্তি দিতে চেয়েছিলেন অধ্যক্ষ। সেই শাস্তির বাড়াবাড়ি দেখে শিউরে উঠেছে গোটা দেশ। শাস্তি দেওয়ার জন্য শাস্তি পেতে হয়েছে প্রধান শিক্ষককে। শিশুর বিরুদ্ধে অপরাধ আইনে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাকে।
শাস্তির দৃশ্যটি প্রকাশ্যে এসেছে একটি ভিডিওয়ের মাধ্যমে। স্কুলটির বারান্দায় ভিডিওটি তোলা হয়েছে। তাতে দেখা গেছে, স্কুলের এক কমবয়সি ছাত্রের একটি পা ধরে খোলা বারান্দা থেকে শূন্যে ঝুলিয়ে দিয়েছেন শিক্ষক। পা ওপরে, মাথা নিচে থাকা অবস্থায় ছাত্রটি দু’হাত ছড়িয়ে বাঁচার চেষ্টা করছে। স্কুলের বারান্দায় ভয়ঙ্কর ঘটনাটি চারপাশে ভিড় করে দেখছে ওই ছাত্রের সতীর্থরা। কিন্তু শিক্ষকের তাতে ভ্রুক্ষেপ নেই। বরং তিনি হুমকি দিচ্ছেন, ক্ষমা না চাইলে মাটিতে ফেলে দেবেন।
ভিডিওটি দেখে উত্তরপ্রদেশের জেলা প্রশাসন স্বপ্রণোদিত তদন্ত শুরু করেছিল। শুক্রবার (২৯ অক্টোবর) সেই তদন্তের পর অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ওই স্কুলটি আসলে একটি বেসরকারি স্কুল। আহরৌরার ওই স্কুলের নাম সদ্ভাবনা শিক্ষা সংস্থান জুনিয়র হাই স্কুল। পুলিশ জানায়, স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র সোনু যাদব টিফিনের সময় এক সহপাঠীকে কামড়ে দিয়েছিল। তাতেই সোনুকে ওই ‘শাস্তি’ দেন অধ্যক্ষ মনোজ।
শাস্তির ভিডিওটি নেটমাধ্যমে ভাইরাল হয়। অনেকেই এটি দেখে বলেছিলেন, এমন শাস্তিতে সামান্য এদিক-সেদিক হলে মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটতে পারত। যদিও ছাত্রটির বাবা-মা বিষয়টিকে ততটা গুরুত্ব দিচ্ছেন না। তারা বলেছেন, গুরুজি যা করেছেন, তা ভুল হতে পারে। কিন্তু তিনি আসলে ভালোবেসেই এমন শাস্তি দিয়েছেন। এতে উপকারই হবে। খবর আনন্দবাজারের।