পরীমনি কণ্ডে ক্ষমা চাইলেন হাইকোর্টে দুই বিচারক

পরীমনি কণ্ডে ক্ষমা চাইলেন হাইকোর্টে দুই বিচারক

নিজস্ব প্রতিবেদক

চিত্রনায়িকা পরীমণিকে দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফা রিমান্ড দেয়ার ঘটনায় ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের দুই বিচারক দেবব্রত বিশ্বাস ও আতিকুল ইসলাম হাইকোর্টে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন। তারা হলেন- ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবব্রত বিশ্বাস ও আতিকুল ইসলাম।

পরিমণির আইনজীবী জেড আই খান পান্না গণমাধ্যমকে জানান, হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় তাদের আইনজীবীর মাধ্যমে এ ক্ষমা চাওয়ার আবেদন করেন।

এর আগে, পরীমণির দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফায় রিমান্ড মঞ্জুর বিষয়ে ব্যাখ্যা দাখিলের জন্য এক সপ্তাহ সময় পেয়েছিলেন ঢাকার দুই মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ও তদন্ত কর্মকর্তা। দুই বিচারকের আইনজীবী এক সপ্তাহ সময়ের আবেদন জানালে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এএসএম আব্দুল মোবিনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ তা মঞ্জুর করেন।

এ বিষয়ে রোববার (৩১ অক্টোবর) নির্ধারিত দিনে ব্যাখ্যা দাখিলে সময় আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এ এস এম আবদুল মোবিনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের ভার্চুয়াল বেঞ্চে শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।

গত ২৯ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট বলেছিলেন, দুই মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটকে আবার ব্যাখ্যা দিতে হবে। এ জন্য সময় দেয়া হচ্ছে। বিষয়টি ২৪ অক্টোবর পরবর্তী আদেশের জন্য আসবে। তদন্ত কর্মকর্তাকে ২৪ অক্টোবরের মধ্যে ব্যাখ্যা দিতে বলেছিলেন হাইকোর্ট। তবে ওইদিন শুনানি হয়নি।

এর আগে ২৯ আগস্ট সুপ্রিম কোর্টের রায় না মেনে পরীমণিকে বারবার রিমান্ডে নেয়ার বৈধতা নিয়ে হাইকোর্টের স্বপ্রণোদিত আদেশ প্রার্থনা করে একটি আবেদন করেন মানবাধিকার সংগঠন আইন ও শালিস কেন্দ্রের (আসক) পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দা নাসরিন।

গত ৩১ আগস্ট পরীমণিকে জামিন দেন বিচারিক আদালত। পরে ১ সেপ্টেম্বর কাশিমপুরের মহিলা কারাগার থেকে মুক্তি মেলে পরীমণির।

গত ৪ আগস্ট বিকেলে পরীমণির বনানীর বাসায় অভিযান চালায় র‍্যাব। এ সময় তার বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ বিদেশি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মদ, মদের বোতলসহ অন্যান্য মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়। ওই দিন রাত ৮টার দিকে বনানীর বাসা থেকে পরীমণিকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য র‍্যাব সদর দফতরে নিয়ে যাওয়া হয়।

বিনোদন