- বাগেরহাট প্রতিনিধিস্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, সুন্দরবনে র্যাবের স্থায়ী ক্যাম্প স্থাপন করা হবে। যাতে এই অঞ্চলে নতুন করে আর বনদস্যু তৈরি বা যারা আত্মসমর্পন করেছে তারা পুর্বের পেশায় ফিরে যেতে না পারে। একই সাথে কোস্টগার্ডকে আধুনিকায়নের মাধ্যমে আরো শক্তিশালী করা হবে।
আজ সোমবার রামপাল ডিগ্রি কলেজ মাঠে আয়োজিত সুন্দরবন দস্যুমুক্ত দিবসের তৃতীয় বর্ষপূর্তির অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এক সময় সুন্দরবনের জেলে বাওয়ালী ও মৌয়ালরা বনদস্যুদের হাতে জিম্মি এবং প্রায়ই বনদস্যুদের হাতে তাদের জীবন হারাতে হতো। প্রধানমন্ত্রীর দুরদর্শিতা ও নির্দেশনায় আমরা দস্যুদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে এনেছি।
খুন ধর্ষণ ছাড়া বনদস্যুদের সব মামলার ব্যপারে সহযোগিতা করার আশ^াস দিয়ে তিনি বলেন, আপনাদের আয়ের টাকা মামলার কারণে যেন উকিল সাহেবদের পকেটে না যায় তার ব্যবস্থা করা হবে।
তিনি বলেন, কেই যদি আবার বিপথে যাওয়ার চেষ্টা করে তাহলে তাদের আবারো আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর মুখোমুখি হতে হবে। আর আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী প্রধানমন্ত্রী যুগপোযোগী করেছেন। ১৫ বছর আগের নিরাপত্তা বাহিনী আর এখনের নিরাপত্তা বাহিনী এক নয়।
আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘এই দেশে যারা অরাজক পরিস্থিতি সুষ্টির আশা করছে তাদের সেই ‘আশার গুড়ে বালি’। কোন ভাবেই তাদের সেই আশা পুরণ হবে না।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রাণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি মো: শামসুল হক টুকু বলেন, একটি দেশের উন্নয়নে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত বিশাল ভূমিক রাখে। বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রীর তাৎক্ষনিক সিদ্ধান্ত গ্রহনের কারনে দেশ আজ এগিয়ে যাচ্ছে। শুধু বনদস্যু নয়, রাজনৈতিক দস্যুদেরও দমন করে প্রধানমন্ত্রীর হাতকে শক্তিশালী করতে হবে।
র্যাবের মহাপরিচালক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন খুলনা সিটি মেয়র আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রাণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি মো: শামসুল হক টুকু, খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য শেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রাণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য পীর ফজলুর রহমান এমপি, সংরক্ষিত মহিলা সংসদ সদস্য গ্লোরিয়া ঝর্না সরকার, স্বরাস্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দীন, পুলিশের মহাপরিচালক ড. বেনজির আহমেদ, খুলনা বিভাগীয় কমিশনার ইসমাইল হোসেন প্রমুখ।
এর আগে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ৩২৮ সাবেক দস্যুর হাতে পুনর্বাসন সহায়তা হিসেবে বসত ঘর ও দোকানের চাবি, নৌকা-ট্রলার ও গবাদি পশু দেওয়া হয়। এরমধ্যে ১০২ জন ঘর, ৯০ জন দোকান ও ২০ জন নৌকা-ট্রলার এবং বাকিদের হাতে গবাদিপশু ও বিভিন্ন সহায়তা তুলে দেওয়া হয়।
২০১৮ সালের ১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত ঘোষণা করেন। এরপর থেকে র্যাবের উদ্যোগে দিবসটি পালিত হয়ে আসছে।