ডলারের দাম আরও বাড়ল

ডলারের দাম আরও বাড়ল

বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোতে ডলারের দাম আরও এক দফা বেড়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকও ডলারের দাম আরও তিন পয়সা বাড়িয়েছে। ফলে এখন কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কাছে প্রতি ডলার বিক্রি করছে প্রায় ৮৫ টাকা ৭০ পয়সা দরে। আগে বিক্রি করত ৮৫ টাকা ৬৭ পয়সা।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডলারের দাম বাড়ানোর পর বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোও এর দাম বাড়িয়েছে। এখন নগদ ডলার সর্বোচ্চ ৯০ টাকা ৬০ পয়সা দরে বিক্রি হচ্ছে। অন্যান্য খাতেও এর দাম বেড়েছে। কার্ব মার্কেটে ডলারের দাম আরও বেড়েছে। এখন সর্বোচ্চ ৯২ থেকে ৯৩ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

সূত্র জানায়, বাজারে হঠাৎ করে ডলারের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় এর দাম হু হু করে বাড়ছে। করোনার সময়ে বকেয়া আমদানি ব্যয় ও ঋণের কিস্তি শোধ করায়, আমদানি বাড়ায় এবং আমদানি পণ্যের দাম বাড়ার কারণে ডলারের চাহিদা বেড়েছে।

গত বছরের ২৭ অক্টোবর কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কাছে প্রতি ডলার বিক্রি করত ৮৪ টাকা ৮০ পয়সা দরে। গত ৩০ জুন ছিল ৮৪ টাকা ৮১ পয়সা। সেপ্টেম্বরে এসে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৮৫ টাকা ৬৫ পয়সা।

বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোতে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে নগদ ডলারের দাম। মিডল্যান্ড ব্যাংক নগদ ডলার বিক্রি করছে ৯০ টাকা ৫০ পয়সা দরে। সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক ৯০ টাকা ২০ পয়সা এবং ব্যাংক আল ফালাহ ৯০ টাকা ১০ পয়সা দরে বিক্রি করছে। সোনালী ব্যাংক ৮৮ টাকা ৫০ পয়সা, পূবালী ব্যাংক ৮৮ টাকা ৬০ পয়সা দরে নগদ ডলার বিক্রি করছে। অগ্রণী ব্যাংক ৮৬ টাকা ৯০ পয়সা, রূপালী ব্যাংক ৮৮ টাকা দরে বিক্রি করছে। এলসি খোলার জন্য গ্রাহকেরা বিক্রি করছে ৮৫ টাকা ৭০ পয়সা থেকে ৮০ পয়সা দরে।

ডলারের দাম বাড়ার কারণে এর সঙ্গে সমন্বয় রেখে ইউরো, পাউন্ডের দামও বেড়েছে। নগদ পাউন্ড বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা ৬৩ পয়সা থেকে ১২৪ টাকা ৭৫ পয়সা দরে। গ্রাহকেরা বিক্রি করছে ১১৪ টাকা থেকে ১২০ টাকা দরে।

করোনার পর এখন বিশেষ করে ভ্রমণ, চিকিৎসা ও পড়াশোনার জন্য বিদেশে যাওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা তুলে দেওয়ায় অনেকেই এখন বিদেশে যাচ্ছেন। এ কারণে নগদ ডলারের চাহিদা যেমন বেড়েছে। তেমনি দামও বেড়েছে।

অর্থ বাণিজ্য