ভেজাল মদ পানে ভারতের বিহারের গোপালগঞ্জ এবং পশ্চিম চাম্পারন জেলায় ২৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। গত দুই দিনের এমন ঘটনায় বেশ কয়েকজন অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
শুক্রবার (৫ নভেম্বর) ইন্ডিয়া টুডে জানিয়েছে, এরমধ্যে পশ্চিম চম্পারণ জেলার তেলহুয়া গ্রামে বৃহস্পতিবার ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। একইদিনে গোপালগঞ্জে ভেজাল মদ পানে আরও ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।
তবে, উভয় জেলা প্রশাসন এখনো মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত করেনি। তেলহুয়াতের ঘটনা নিয়ে গত দশ দিনে উত্তর বিহারে এই জাতীয় তৃতীয় ঘটনা ঘটলো।
বিহারের মন্ত্রী জনক রাম সাংবাদিকদের বলেন, অভিযোগ করা হচ্ছে নকল মদ পানে তাদের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু, আমি তাদের বাড়িতে গিয়েছি। আমার মনে হচ্ছে এটি এনডিএ সরকারের বদনাম করার ষড়যন্ত্র হতে পারে।
গোপালগঞ্জের পুলিশ সুপার আনন্দ কুমার বলেন, গত ২ দিনে জেলার মোহাম্মদপুর গ্রামে রহস্যজনকভাবে কয়েকজন মারা গেছেন। তাদের মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত করা যায়নি। কারণ ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এখনো হাতে পাওয়া যায়নি। পুলিশের ৩টি দল এসব ঘটনা তদন্ত করছে।
স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, কিছু মরদেহ তাদের পরিবার দাহ করেছে।
তারা জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৪ জনের মৃত্যু হয়। এছাড়া হাসপাতালে হাসপাতালে নেওয়ার পথে আরও ২ জনের মৃত্যু হয়।
প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, ভেজাল পদার্থ পান করায় এসব মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ একটি মামলা দায়ের করেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, এসব ঘটনায় ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পশ্চিম চম্পারণের পুলিশ সুপার উপেন্দ্র নাথ ভার্মা বলেছেন, মামলার তদন্ত চলছে এবং জেলা প্রশাসন এবং পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তেলহুয়াতে ক্যাম্প করে ঘটনার তদারকি করছেন।
গ্রামবাসীরা দাবি করেছেন, তেলহুয়া গ্রামের চামারতোলি এলাকায় মারা যাওয়া সবাই গত বুধবার সন্ধ্যায় মদ পান করেছিলেন। মদ পানের পর তাদের ৮ জনের অবস্থার অবনতি হয় এবং তাদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাদের মৃত্যু হয়েছে।
খবর পাওয়া গেছে, আরও কিছু গ্রামবাসী মদ পান করেছিল, তাদের এলাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মুজফফরপুর জেলার রূপোলী গ্রামে হুচ ট্র্যাজেডিতে গত ২৮ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত ৮ জন মারা গেছেন এবং ৪ জন মুজফফরপুরের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
তারা জানায়, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত নওয়াদা, পশ্চিম চম্পারণ, মুজফফরপুর, সিওয়ান ও রোহতাস জেলায় ভেজাল মদ খেয়ে প্রায় ৭০ জন মারা গেছেন এবং অনেকে দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন।