পরিবহন মালিক সমিতির বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রাজধানীতে সিটিং সার্ভিস ও ওয়েবিল সিস্টেমে গণপরিবহন চলাচল বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। পরিবহন মালিক সমিতির দেওয়া তিন দিনের ডেডলাইন শেষ হয়েছে গতকাল শনিবার (১৩ নভেম্বর)। সেই হিসেবে আজ রবিবার থেকে গণপরিবহনে সিটিং সার্ভিস ও ওয়েবিল সিস্টেম বন্ধ হচ্ছে।
এর আগে, গত বুধবার (১০ নভেম্বর) ঢাকা সড়ক পরিবহন সমিতির কার্যালয়ে বাস ভাড়া বৃদ্ধি বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করে পরিবহন মালিক সমিতি। এতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব এনায়েত উল্যাহ জানান, তিন দিনের মধ্যে ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় সিটিং এবং গেটলক সার্ভিস থাকবে না এবং ওয়েবিল সিস্টেমেও আর বাস চলবে না। গাড়িতে ভাড়ার চার্ট ঝুলিয়ে দেওয়া হবে।
রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে দেখা গেছে, পরিবহনগুলোতে সিটিং সার্ভিসের নামে আদায় করা হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়া। নির্ধারিত দূরত্বে কতজন যাত্রী উঠছে সেটা গণনা করার জন্য চালু করে ওয়েবিল পদ্ধতি। একজন লাইনম্যান নির্ধারিত দূরত্বে একটি কাগজে যাত্রীর সংখ্যা লিখে স্বাক্ষর করে দেন। কম যাত্রী নিয়ে বেশি ভাড়া আদায়ের জন্য ওয়েবিল নামের এ পদ্ধতি চালু করেছিল বাস মালিকরা এমন অভিযোগ করেন যাত্রীরা। আর এ পদ্ধতির মাধ্যমেই অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হয় যাত্রীদের কাছ থেকে।
উল্লেখ্য, ডিজেলের দাম পুনর্নির্ধারণের কারণে গত ৭ নভেম্বর ঢাকায় ডিজেলচালিত বড় বাসে প্রতি কিলোমিটারের ভাড়া ২ টাকা ১৫ পয়সা ও মিনিবাসে ২ টাকা ৫ পয়সা নির্ধারণ করে দেয় বিআরটিএ। বড় বাসে সর্বনিম্ন ভাড়া ঠিক করা হয় ১০ টাকা, মিনিবাসে ৮ টাকা। যেসব বাস সিএনজিতে চলে, সেগুলোর ভাড়া বাড়বে না। কিন্তু রাজধানীর বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী গণপরিবহনে চলছে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়। যাত্রীদের সঙ্গে এ নিয়ে বাকবিতণ্ডাও চলছে আগের মতো।