অনলাইন জুয়া, এক জেলাতেই দৈনিক লেনদেন ৫ কোটি

অনলাইন জুয়া, এক জেলাতেই দৈনিক লেনদেন ৫ কোটি

অনলাইন জুয়ার নামে চুয়াডাঙ্গায় দিনে তিন থেকে পাঁচ কোটি টাকা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে অবৈধ লেনদেনের তথ্য পেয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। রবিবার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি কামরুল আহসান সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, জেলায় ৫০ জন মোবাইল ব্যাংকিং এজেন্টের তথ্য পাওয়া গেছে, যে নম্বরগুলো থেকে জুয়ার টাকা লেনদেন হচ্ছে। এই নম্বরগুলোর মধ্যে অন্তত ১৫টিতে দিনে ১০ লাখের ওপরে টাকা লেনদেন করছে জুয়াড়ি চক্র। পরে এই টাকা হুন্ডি বা অবৈধ ব্যাংকিং চ্যানেলে পাচার হয়।

সিআইডি জানায়, মামলার তদন্ত করতে গিয়ে একটি বেটিং সাইটের সন্ধান পাই। সাইটটি রাশিয়া থেকে পরিচালিত হলেও বাংলাদেশে তার এজেন্ট রয়েছে। সীমান্তবর্তী জেলায় অনলাইন জুয়ার টাকা লেনদেনের বেশি তথ্য আমরা পাচ্ছি। যেমন চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর ও কক্সবাজার।’

সিআইডি আরও জানায়, অনলাইন জুয়ার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে শনিবার চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর ও কক্সবাজার থেকে ৯ ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁরা হলেন স্বপন মাহমুদ, নাজমুল হক, আসলাম উদ্দিন, মুরশিদ লিপু, শিশির মোল্লা, মো. সাদিক, মাসুদ রানা, মাহফুজুর রহমান ও তার স্ত্রী মনিরা আক্তার। তাদের বয়স ৩৫ থেকে ২০ বছরের মধ্যে।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে কামরুল আহসান বলেন, ‘একটি জেলায় ৫০ জন এজেন্টের তথ্য পাওয়া গেছে। সারা দেশের চিত্র এখনো আমরা পাইনি। এ নিয়ে কাজ চলছে। দিনে একটি বেটিং সাইটে এক থেকে দেড় লাখ ব্যক্তি জুয়ায় অংশ নেন।’

তথ্য প্রুযুক্তি সারাদেশ