বাংলাদেশে নির্বাচন স্বচ্ছ ও অংশগ্রহণমূলক দেখার আশা প্রকাশ করে ঢাকায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের নতুন রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি বলেছেন, তারা এই প্রক্রিয়া ‘গভীরভাবে নজরে’ রাখবে।
সোমবার ঢাকার একটি হোটেলে ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ডিক্যাব) আয়োজিত ডিক্যাব টকে একথা বলেন তিনি।
ইইউ রাষ্ট্রদূত বলেন, “আমরা বিদেশি হয়ে নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করতে চাই না। তবে কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় অবস্থান, উন্নয়ন ও অর্থনীতির পাওয়ারহাউজ এবং উন্নয়নে অংশীদারিত্বের কারণে বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় খুবই আগ্রহী।
“এখনও দুই বছর দূরে হলেও আমরা এই নির্বাচন প্রক্রিয়ায় গভীরভাবে নজর রাখব।”
জাতীয় নির্বাচনর দুই বছরের বেশি সময় বাকি থাকার মধ্যে মেয়াদ শেষের পথে থাকা নির্বাচন কমিশন গঠন এবং নির্দলীয় সরকার গঠন করতে বিএনপির দাবি নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে পাল্টাপাল্টি বক্তব্য চলছে।
‘নিরপেক্ষ সরকারের’ কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে ‘নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের’ পরিচালনায় ‘গ্রহণযোগ্য’ নির্বাচন দেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছে বিএনপি।
অন্যদিকে আওয়ামী লীগ বলছে, বর্তমান সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতায় রেখে গত দুই বারের মতোই আগামী নির্বাচন হবে।
বিবাদমান রাজনৈতিক দলগুলোর পাল্টাপাল্টি বক্তব্যের মধ্যে নির্বাচন নিয়ে কথা বলেন ইউরোপীয় দেশগুলোর জোটের প্রতিনিধি চার্লস হোয়াইটলি।
তিনি বলেন, “নির্বাচন কোনো আনুষ্ঠানিকতা নয়। এটি সুস্পষ্টভাবে একটি প্রক্রিয়া যেখানে দীর্ঘ প্রস্তুতির ব্যাপার থাকে। আমরা ইতোমধ্যে নির্বাচনী প্রস্তুতির সূচনা দেখেছি। আইনি বিষয়াদি ও রাজনৈতিক দলগুলোর আচরণ আমরা দেখতে পাচ্ছি।”
নির্বাচন ঘিরে প্রত্যাশার কথা জানিয়ে ইইউ রাষ্ট্রদূত বলেন, “এটা অনেক বড় প্রক্রিয়া, বাংলাদেশের মানুষ ভোটের দিন সকালে উঠে যাতে বুঝতে পারে, তার ভোটটি গণনা করা হয়েছে এবং তাদের ভোট দেওয়ার অধিকার প্রতিষ্ঠা হয়েছে।”
ডিক্যাব সভাপতি পান্থ রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এ কে এম মঈনউদ্দীন বক্তব্য দেন।