সুজিৎ নন্দী: [২] রাজধানীর বিভিন্ন গন্তব্যে যাত্রীবাহী বাস চলাচল কমে গেছে। বিপাকে পড়েছেন যাত্রীরা। রাস্তার দুপাশে ফুটপাতে হেঁটে যাচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ। আবার কেউ কেউ সিএনজি অটোরিকশা ভাড়া করে যাচ্ছেন। সবচেয়ে বেশি কমেছে মিরপুর-১, ১০, ১১, ১২, কালশি, পূরবী, সিরামিক রোডে যাত্রীবাহী বাস।
[৩] চালক-হেলপাররা বলেন, প্রতিদিনই যাত্রীদের সঙ্গে ভাড়া নিয়ে তর্ক ও ঝগড়া হচ্ছে। নতুন ভাড়া অনুযায়ী যাত্রীরা দিতে চাচ্ছে না। এদিকে পরিবহনের মালিকরাও পরিবহনের জমা ভাড়ার সঙ্গে মিলিয়ে নিতে চাচ্ছেন।
[৪] একাধিক চালক আরও জানান, এখন গাড়ি নিয়ে বের হয়ে দিনে ৪টি ট্রিপ দিলে তেল খরচসহ সব মিলিয়ে আমাদের বেতনও ওঠে না। এতে আমরাও বিপাকে পড়েছি। তাই বাধ্য হয়ে আমরা গাড়ি বন্ধ রেখেছি। বুধবার সরেজমিনে বিভিন্ন বাসস্টান্ডে গিয়ে এরকম চিত্র দেখা গেছে।
[৫] বিআরটিএ চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার বলেন, গাড়িগুলো থামানোর পর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গাড়িতে উঠছেন। বর্ধিত ভাড়ার নতুন তালিকা প্রকাশ্য জায়গায় টাঙানো আছে কিনা তা চেক করছেন এবং বর্ধিত ভাড়া থেকেও বেশি ভাড়া নিচ্ছে কিনা তা যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানার চেষ্টা করছেন। অভিযোগ থাকলে তা পরীক্ষা করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
[৬] সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ বলেন, আমাদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সরকার যে যে সিদ্ধান্ত দিবেন সে অনুযায়ী আমরা চলবো। সাময়িক ভাবে সমস্যা হলেও আস্তে আস্তে ঠিক হয়ে যাবে।
[৭] যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী অবশ্য বলেন, পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের আন্দোলনের ফলে সরকার বাসভাড়া বাড়িয়েছে। কিন্তু তার চেয়ে বেশি ভাড়া নিচ্ছেন তারা। এর সঙ্গে যাত্রী হয়রানিও বেড়েছে।
[৮] সাধারণ যাত্রীরা বলছেন, বিআরটিএ নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে বেশি আদায় করছিলেন পরিবহন শ্রমিকেরা। এছাড়া সিটিং সার্ভিস এবং গেটলকের নামে যাত্রীদের হয়রানি আরও বেড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে গত কয়েকদিন ধরে নগরের গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছে বিআরটিএ। আজও আটটি ভ্রাম্যমাণ আদালত মাঠে রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিআরটিএ সংশ্লিষ্টরা।