শতবর্ষে ঢাবি’র উন্নয়নে বিস্তারিত কর্মসূচি

শতবর্ষে ঢাবি’র উন্নয়নে বিস্তারিত কর্মসূচি

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক

শতবর্ষ পূর্ণ করেছে উপমহাদেশের অন্যতম প্রাচীন ও দেশের উচ্চশিক্ষার শীর্ষ প্রতিষ্ঠান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। ১৯২১ সালে প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়টি এ বছরের ১ জুলাই ১০১তম বছরে পা দিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে বিস্তারিত কর্মসূচি হাতে নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

শনিবার প্রশাসনিক ভবনস্থ প্রফেসর আব্দুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে কর্মসূচির বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। এসময় উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ এবং উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, আড়ম্বরপূর্ণ আয়োজনে শতবর্ষপূর্তি উদযাপনের কথা থাকলেও করোনার কারণে তা সম্ভব হয়নি। সেই আক্ষেপ পুষিয়ে নিতে আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে শতবর্ষের মূল আয়োজন। রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য মো. আব্দুল হামিদ এক অনুষ্ঠানে শতবর্ষের নানা আয়োজনের উদ্বোধন করবেন। অনুষ্ঠান চলবে পরবর্তী তিন দিন। ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসে কর্মসূচির সমাপ্তি হবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষপূর্তি ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ইতোমধ্যেই ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রিসার্চ ইনস্টিটিউট ফর পিস এন্ড লিবার্টি’ প্রতিষ্ঠা, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা সেন্টার ফর জেন্ডার এন্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ প্রতিষ্ঠা, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব স্বর্ণপদক’ প্রবর্তন, ‘বঙ্গবন্ধু পিএইচ.ডি. ছাত্র বৃত্তি’ চালু, ‘বঙ্গবন্ধু ওভারসীস স্কলারশিপ’ পুনঃপ্রবর্তন প্রভৃতি বাস্তবায়িত হয়ে গেছে। এছাড়াও শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যবীমার আওতায় আনা, ইনোভেশন, ক্রিয়েটিভিটি এন্ড এন্ট্রাপ্রেনিউরশিপ সেন্টার প্রতিষ্ঠা, ভাইরোলজি বিষয়ে গবেষণার জন্য ল্যাব প্রতিষ্ঠা, কোভিড-১৯ টিকাসহ অন্যান্য ভ্যাকসিন তৈরির উদ্যোগ প্রভৃতি কর্মসূচিও সম্পন্ন হয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষপূর্তি ও মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে কেন্দ্রীয়ভাবে কয়েকটি মৌলিক গ্রন্থ, প্রায় ২৫০টির মত মৌলিক গবেষণা, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সময়ের সমাবর্তন বক্তা ও উপাচার্যদের বক্তব্য সংকলন, গবেষণা, প্রবন্ধ ও আলোকচিত্র সংকলনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর অংশ হিসেবে ইতোমধ্যে ছয়টি আন্তর্জাতিক সেমিনার (ওয়েবিনার) অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শতবর্ষের বিশ্ববিদ্যালয়ের মলচত্ত¡রে স্থাপন করা হবে ‘শতবার্ষিক স্মৃতিস্তম্ভ’ (সেন্টিনারি মনুমেন্ট)। ‘অসীমতার স্তম্ভে বিশালতা, অন্তর্ভুক্ততা ও উদারতা’-এই থিম ধারণ করে নির্মিতব্য স্তম্ভের নকশা ইতোমধ্যে প্রণয়ন করা হয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা পরিবেশ এবং অত্যাবশ্যক অবকাঠামোসহ সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য প্রথমবারের মতো পূর্ণাঙ্গ ‘মাস্টার প্ল্যান’ প্রণয়ন করা হয়েছে। হাতে নেওয়া হয়েছে ‘গ্র্যাজুয়েট প্রমোশন অ্যান্ড স্কিল ডেভেলপমেন্ট’ শীর্ষক কর্মসূচি এবং ‘আইটি হাব’ স্থাপনের কাজ। শিক্ষা ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা অটোমেশনের আওতায় আনার কাজও ইতোমধ্যে শুরু হয়ে গেছে।

সংবাদ সম্মেলনে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন, চতুর্থ শিল্পবিপ্লব উপযোগী বিশ্ববিদ্যালয় বিনির্মাণ এবং দক্ষ মানব সম্পদ তৈরির লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয় বিভিন্ন কর্মপ্রয়াস গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে চলেছে। এসডিজি-২০৩০ অর্জনে ও পরিপ্রেক্ষিত রূপকল্প-২০৪১ বাস্তবায়নে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম, পাঠক্রম উন্নয়ন, প্রশিক্ষণ কার্যক্রম, মৌলিক ও প্রায়োগিক গবেষণা পরিচালনায় এসডিজি লক্ষ্যমাত্রাগুলোকে বিবেচনায় নেওয়া হচ্ছে ।

শিক্ষা