নিজস্ব প্রতিবেদক
বেতন-ভাতা বৃদ্ধিসহ কয়েকটি দাবি নিয়ে রাজধানীর মিরপুর এলাকায় বিক্ষোভরত পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা অবরোধ তুলে নিয়েছেন। মিরপুর ১৩, ১৪ ও কচুক্ষেত এলাকার পোশাক কারখানাগুলো অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করায় আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে শ্রমিকেরা সড়ক ছেড়ে চলে যান।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিরপুর জোনের অতিরিক্ত উপকমিশনার মাহবুবুর রহমান শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ প্রত্যাহারের কথা নিশ্চিত করেন। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, পাঁচ শ্রমিককে মালিকপক্ষের মারধরের প্রতিবাদ ও বেতন-ভাতা বাড়ানোর দাবিতে সড়ক অবরোধ করে তাঁদের বিক্ষোভ চলছিল।
পোশাকশ্রমিকদের সড়ক অবরোধে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনায় মোট ছয়টি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে কাফরুল থানায় পাঁচটি এবং মিরপুর মডেল থানায় একটি। এসব মামলায় অজ্ঞাতনামা ৭০০-৮০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত সাতজন গ্রেপ্তার হয়েছেন। আজ তাঁদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
কাফরুল থানায় পাঁচ মামলার চারটি করেছেন বিভিন্ন পোশাক কারখানার মালিকেরা। একটি মামলা করেন মোটরসাইকেল পোড়ানোর ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত মালিক। এ ছাড়া সড়ক অবরোধের সময় মিরপুর ১০ নম্বরের পুলিশ বক্সে আগুন দেওয়ার ঘটনায় ট্রাফিক পুলিশ বাদী হয়ে মিরপুর মডেল থানায় একটি মামলা করে।
মিরপুরের বিভিন্ন পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা গতকাল বুধবার সড়ক অবরোধ করেন। এরপর আজ সকাল আটটা থেকে আবার সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছিলেন তাঁরা। বিক্ষোভ শুরুর একপর্যায়ে মিরপুর ১৪ নম্বরে হামিম গ্রুপের একটি পোশাক কারখানা লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়েন আন্দোলনরত শ্রমিকেরা। এতে কারখানা ভবনের জানালার কাচ ভেঙে যায়। এরপর পোশাকশ্রমিকেরা ১৪ নম্বরের পথচারী–সেতুর নিচে অবস্থান নেন। সেখানে অবস্থান নিয়ে তাঁরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন। এতে আশপাশের এলাকাগুলোতে যানজটের সৃষ্টি হয়।
পোশাকশ্রমিকেরা জড়ো হয়ে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ করলে পরিস্থিতি সামাল দিতে মিরপুর ১৩ ও ১৪ নম্বরে রাস্তায় পুলিশের ব্যাপক উপস্থিতি দেখা যায়। ওই এলাকায় যানজট শুরু হয়। তবে বেলা ১১টার দিকে শ্রমিকেরা সড়ক ছেড়ে দিলে ওই এলাকায় যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
এর আগে গতকাল পোশাকশ্রমিকদের বিক্ষোভের সময় মিরপুর ১০ নম্বর গোলচত্বরের ট্রাফিক পুলিশ বক্সে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। মিরপুর ১৪ নম্বরে নোটারি স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে আওয়ামী লীগের একটি কার্যালয় ভাঙচুর ও কার্যালয়ের পাশে থাকা দুটি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।