ব্যালন ডি’অর দেয় ফরাসি পত্রিকা ফ্রান্স ফুটবল। সংবাদমাধ্যমটির সম্পাদক হওয়ার সুবাদে পাসকাল ফেরে ফুটবলের মহাতারকাদের সঙ্গে কথা বলার দারুণ সুযোগ পান। সে সুবাদেই রোনালদোর মনের গোপন খবর জেনেছেন। নিউইয়র্ক টাইমসকে বলেছেন, ‘রোনালদোর একটাই লক্ষ্য আর তা হলো মেসির চেয়ে বেশি ব্যালন ডি’অর নিয়ে অবসরে যাওয়া। আমি জানি কারণ, আমাকে তিনি নিজে এটা বলেছেন।’
২০১৭ সালে সমতায় এলেও ২০১৯ সালে আবারও পিছিয়ে পড়েছেন রোনালদো। এ মৌসুমে বার্সেলোনার হয়ে কোপা দেল রে এবং আর্জেন্টিনার হয়ে কোপা আমেরিকা জেতার পর মেসির সপ্তম ব্যালন ডি’অর জেতার সম্ভাবনা বেড়ে গেছে। ওদিকে ক্লাব ও জাতীয় দলের হয়ে গুরুত্বপূর্ণ কিছুই জিতেননি রোনালদো। কাতার বিশ্বকাপে যাওয়াও অনিশ্চিত পর্তুগালের। ফলে এবার অন্তত মেসিকে যে রোনালদোর ছোঁয়া হচ্ছে না তা নিশ্চিত।
তবে মেসিও যে এবার রোনালদোর সঙ্গে ব্যবধান বাড়িয়ে নেবেন, সে নিশ্চয়তা নেই। কারণ, গতবার নিশ্চিতভাবেই যিনি পুরস্কার পেতেন, সেই রবার্ট লেভানডফস্কি এবারও দুর্দান্ত ফর্মে আছেন। আর রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে কিছু না জিতলেও বহুদিন পর ফ্রান্স দলে ফেরা করিম বেনজেমা দলকে নেশনস লিগ জেতানোয় তাঁর নামও শোনা যাচ্ছে। এ ব্যাপারে ফ্রান্স ফুটবলের নাম জড়িয়ে অনেকেই বিজয়ীর নাম হিসেবে বেনজেমার জানিয়ে দিচ্ছেন।
তবে ফেরে বলে দিয়েছেন, ২৯ নভেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণার আগে বিজয়ীর নাম কাকপক্ষীকেও টের পেতে দেবেন না তিনি, ‘এই অনুষ্ঠানের দায়িত্বে আছি ছয় বছর চলছে। আমি এখনো কোনো ভুল করিনি। আমি মিথ্যা বলতে চাই না (যারা বিজয়ীর নাম জানতে চাইছেন, তাঁদের কাছে)। কিন্তু আমি সবাইকে বলি, নামটা বলতে পারছি না, কারণ যে জিতেছে সে-ই এখনো জানে না। তাই তাঁর আগে অন্য কারও এটা জানা ঠিক হবে না।’
মেসি রোনালদোর রাজত্বে ২০১৮ সালে ঢুকে পড়েছিলেন রিয়াল মাদ্রিদের ক্রোয়েশিয়ান মিডফিল্ডার লুকা মদরিচ। তাঁকে সে খবর দিয়েছিলেন ফেরে। খবরটা শুনে নাকি শিশুর মতো কেঁদেছিলেন মদরিচ।