এলডিসি উত্তরণে এফবিসিসিআইয়ের ১০ বছর মেয়াদী মাস্টার প্ল্যান

এলডিসি উত্তরণে এফবিসিসিআইয়ের ১০ বছর মেয়াদী মাস্টার প্ল্যান

আগামী সপ্তাহে সরকারের কাছে ধারনাপত্র উপস্থাপন
অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ এলডিসি উত্তরণে ব্যবসা-বাণিজ্য ও অর্থনীতির উন্নয়নে আগামী ১০ বছর মেয়াদী মাস্টার প্ল্যান তৈরির ঘোষণা দিয়েছে এফবিসিসিআই। সংগঠনটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে-আগামী এক দশকে বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য বিপুল সম্ভাবনা তৈরি হবে। সেই সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে এখনই প্রস্তুতি নেয়া প্রয়োজন। শনিবার বিকেলে এফবিসিসিআই কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সংগঠনটির সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন। তিনি বলেন, এলডিসি পরবর্তী পরিবর্তিত বৈশ্বিক চাহিদা মোকাবিলায় খাতভিত্তিক সক্ষমতা বৃদ্ধি সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দেশীয় শিল্পের সক্ষমতা বাড়াতে একটি ইনোভেশন সেন্টার প্রতিষ্ঠা করতে যাচ্ছে এফবিসিসিআই।

আগামী মাসেই এ সংক্রান্ত ধারণাপত্রটি সরকারের কাছে জমা দেওয়া হবে। স্বাধীনতার সূবর্নজয়ন্তী উপলক্ষ্যে এফিবিসিসিআই’র আয়োজনে চলমান “বিজয়ের ৫০ বছর ঃ লাল সবুজের মহোৎসব” এর ওপর অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলেন আগামী ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত ১৬ দিনব্যাপী কার্যক্রমের বিস্তারিত তুলে ধরেন এফবিসিসিআই সভাপতি। এসময় তিনি বলেন, ব্যবসা বাণিজ্য সম্প্রসারণে বিভিন্ন পদক্ষেপের পাশাপাশি, দেশ, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও লাখো শহীদের প্রতি ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতাবোধের প্রকাশ হিসেবে স্বাধীনতার সূবর্ণ জয়ন্তীতে মহোৎসব করছে এফবিসিসিআই।

তিনি বলেন, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হবার পর, বাংলাদেশের জন্য অসংখ্য সম্ভাবনা তৈরি হবে। ব্যবসা বাণিজ্য ও রফতানি খাতে চাহিদা তৈরি হবে নতুন পণ্যের। অর্থনীতির আকারও বড় হবে। সরকারের নেয়া নানা অবকাঠামো প্রকল্পের বাস্তবায়ন শেষ হলে বিদেশী বিনিয়োগও বাড়বে। তখন পণ্য পরিবহন, বন্দরের সক্ষমতাও বাড়াতে হবে।এ সবকিছুকে বিবেচনা করে আগামী দশকে অর্থনীতির চাহিদার সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় কর্মকৌশল নির্ধারণ করতে মাস্টার প্ল্যান তৈরি করছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই।

বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও পুন:প্রক্রিয়াজাতকরণ নিয়ে এফবিসিসিআই’র সঙ্গে কাজ করছে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়। চলমান এ কার্যক্রম শেষ হলে, দেশের বর্জ্য দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন ও পুণ: প্রক্রিয়াজাতকৃত পণ্যের উৎপাদন বাড়বে বলে আশা প্রকাশ করেন এফবিসিসিআই সভাপতি। সংবাদ সম্মেলেন সাম্প্রতিক যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স সফরের প্রসঙ্গ তুলে ধরে এফবিসিসিআই সভাপতি জানান, বাংলাদেশী প্রবাসীদের ২য় ও ৩য় প্রজন্ম দেশদুটির মূল অর্থনীতির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে যুক্ত হয়েছে। কিন্তু তাদের বাংলাদেশ সম্পর্কে তেমন ধারণা নেই। বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের সঙ্গে ঐসব প্রবাসী উদ্যোক্তাদের যুক্ত করতে পারলে, দেশ দুটির মূল বাজার ধরা সহজ হবে। এ লক্ষ্যে যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সের মূল ধারার বাণিজ্য সংগঠনের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সই করেছে এফবিসিসিআই। এছাড়া তৈরি পোশাকের বাইরে নতুন নতুন সম্ভাবনাময় পণ্যের তালিকা, সেগুলো রফতানির সুযোগ ও প্রতিবন্ধকতা বিষয়ে গবেষণা করতে এইচএসবিসির সঙ্গেও সমঝোতা স্মারক সই করেছে এফবিসিসিআই। এসব কার্যক্রমের ফলে, এলডিসি পরবর্তী সময়ের সম্ভাবনা কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির চাকা আরো বেগবান হবে বলে আশা প্রকাশ করেন

অর্থ বাণিজ্য