পুরান ঢাকার আলুবাজারে সোমবার গভীর রাতে বিকট বিস্ফোরণের পর ধসে পড়েছে একটি চারতলা ভবনের নিচতলার দেয়াল। ওই বিস্ফোরণের পর আগুন ধরে আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন।
আহতদের মধ্যে নারী-শিশুসহ পাঁচজনকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা ধারণা করছেন, আলুবাজারের ওসমান গনি রোডের ৩৪/১ নম্বর বাড়িতে গ্যাসের লিকেজ থেকে ওই বিস্ফোরণ হতে পারে।
অগ্নি নির্বাপক সংস্থাটির কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে জানানো হয়, বিস্ফোরণের পর ভবনটির নিচতলায় আগুন ধরে যায়। খবর পেয়ে তাদের নয়টি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নেভায়। তাছাড়া বিস্ফােরণে ভবনটির নিচতলার ইট সরে রডগুলোও বেরিয়ে এসেছে।
ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, আশপাশের কয়েকটি ভবনের জানালার কাঁচ ভেঙে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে। স্থ্নীয়রা বলছেন, বিস্ফোরণে পাশের ভবনগুলোর এমন পরিস্থিতি হয়েছে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া জানান, আলুবাজারে ভবনে বিস্ফারণের পর কামাল হোসেন (৩৫), সেলিনা বেগম (৩০), বন্যা আক্তার (৭), আমিনুল ইসলাম (৩০) ও শিলা আক্তারকে (২২) বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া ওই ঘটনায় আহত আরিফা আক্তার (৬), মো. আসাদুল্লাহ (৪), মলিনা আক্তার (২১), মারুফ হোসেন (১২) ও এক বছর বয়সী শিশু নুসরাত আক্তারকে ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
আহত শিশু নুসরাতেরর একজন স্বজন মো. সুজন জানান, রাতে হঠাৎ বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে অনেকেই আহত হন। পাঁচজনকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। ওই ঘটনার পর গোটা এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে।
ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক বজলুর রশিদ বলেন, গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে ঘটনাটি ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তবে বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।
প্রাথমিক অনুসন্ধানের পর এই কর্মকর্তা বলেন, ভবনের পিলার কনক্রিট দিয়ে তৈরি করার কথা থাকলেও ওই ভবনের পিলার তৈরি করা হয়েছে ইট দিয়ে। এতে নিচতলা সহজেই ধসে গেছে।