এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে করোনাভাইরাসের টিকাদান কার্যক্রমে বাংলাদেশ অন্যান্য দেশগুলোর তুলনায় পিছিয়ে আছে। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) এক প্রতিবেদনে এশিয়ার ৪৮টি দেশের মধ্যে ৪৪টি দেশের টিকাদানের হিসাব তুলে ধরে জানিয়েছে, বাংলাদেশের অবস্থান ৩৫তম।
ওমিক্রন ও ডেল্টায় আক্রান্ত তিন নারী ক্রিকেটার হাসপাতালে
এছাড়া দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যেও করোনার টিকাদান কার্যক্রমে বাংলাদেশ কেবল আফগানিস্তানের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে।
দক্ষিণ এশিয়ার ৮টি দেশের মধ্যে ভুটানের অবস্থান সবচেয়ে ভালো। প্রথম অবস্থানে থাকা এই দেশটি ইতোমধ্যে ৮০ শতাংশ টিকা দিয়েছে। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে মালদ্বীপ। দেশটির সরকার মালদ্বীপের নাগরিকদের মধ্যে ৭৫ শতাংশের বেশি টিকা দিয়েছে। তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে শ্রীলঙ্কা। দেশটির ৭০ শতাংশ নাগরিক ইতোমধ্যে টিকা পেয়েছেন। ভারত ও নেপাল এ পর্যন্ত ৩০ শতাংশ নাগরিককে টিকা দিতে পেরেছে। বাংলাদেশ তালিকায় সপ্তম ও আফগানিস্তান অষ্টম স্থানে রয়েছে। এই দুই দেশের মোট জনসংখ্যার ২০ শতাংশেরও কম এ পর্যন্ত টিকা নিতে পেরেছেন।
টিকাদানে পিছিয়ে থাকা দেশগুলোর বিষয়ে এডিবি তাদের প্রতিবেদনে বলেছে, মহামারির নতুন ঢেউ এসব দেশে সবকিছু খুলে দেয়ার যে প্রবণতা, তা উল্টে দিতে পারে।
উল্লেখ্য, বিশেষজ্ঞরা বলছেন, টিকা দিলেই যে মহামারি নিয়ন্ত্রণে আসবে, তার নিশ্চয়তা নেই। তবে টিকা পেলে মানুষের গুরুতর অসুস্থ হওয়ার প্রবণতা কমে।
গতকাল মঙ্গলবার ‘এশীয় উন্নয়ন পূর্বাভাস’-এর সম্পূরক হিসাবে দেয়া এই প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এতে বলা হয়, চলতি বছর দক্ষিণ এশিয়ার প্রবৃদ্ধির হার দাঁড়াবে ৮ দশমিক ৬ শতাংশ, যা আগের প্রতিবেদনের চেয়ে কিছুটা কম। তবে ২০২২ সালের জন্য প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস ৭ শতাংশে অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।
জনসংখ্যার কত শতাংশ পূর্ণ দুই ডোজ ও এক ডোজ টিকা পেয়েছেন, তা ধরে বিভিন্ন দেশ/অঞ্চলের অবস্থান তুলে ধরা হয় এডিবির প্রতিবেদনে। সেই পরিসংখ্যানে বাংলাদেশের অবস্থান এশিয়ায় ৩৫তম। ‘আওয়ার ওয়ার্ল্ড ইন ডেটা’ নামের একটি ওয়েবসাইট থেকে প্রতিবেদনে তথ্য নেয়া হয়েছে।
১৩ ডিসেম্বর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, বাংলাদেশে দুই ডোজ টিকা পেয়েছেন ৪ কোটি ৩৫ লাখের মতো মানুষ। এক ডোজ টিকা পেয়েছেন ৬ কোটি ৭১ লাখ জন। সরকার জনসংখ্যার ৮০ শতাংশকে টিকার আওতায় আনতে চায়।