কলকাতা কথকতা কলকাতা শ্রদ্ধায়, বিনম্র হয়ে স্মরণ করছে পঞ্চাশ বছর আগের সেই মুক্তিযুদ্ধকে

কলকাতা কথকতা কলকাতা শ্রদ্ধায়, বিনম্র হয়ে স্মরণ করছে পঞ্চাশ বছর আগের সেই মুক্তিযুদ্ধকে

জয়ন্ত চক্রবর্তী, কলকাতা  পঞ্চাশ বছর আগে ১৬ই ডিসেম্বর, ১৯৭১ সনে তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তানে পদানত হয়েছিল জেনারেল নিয়াজি আর টিক্কা খানের পাক বাহিনী ৷ স্বাধীন বাংলাদেশ উদিত সূর্যের মতো মাথা তুলে দাঁড়িয়েছিল ৷ সেদিন ভারতীয় সেনাবাহিনী সাহায্যের হাত শুধু বাংলাদেশের মুক্তিবাহিনীর দিকে বাড়িয়ে দেয়নি, প্রত্যক্ষভাবে যুদ্ধে অংশ নিয়েছিল তদানীন্তন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর নির্দেশে ৷ কলকাতার ফোর্ট উইলিয়াম কেল্লা থেকেই উড়ে গিয়েছিল পূর্বাঞ্চলীয় সেনা কর্তা জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরার চপার৷ বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রামীরা আশ্রয় নিয়েছিলেন এই কলকাতাতেই ৷ তাই, আজও কলকাতা আর ঢাকা নিবিড় সূত্রে বাঁধা ৷ কলকাতা পালন করছে ১৬ই ডিসেম্বর এর সেই দিনটি শ্রদ্ধায়, বিনম্র চিত্রে ৷ ফোর্ট উইলিয়ামে সেনাবাহিনী যেমন পালন করবে দিনটি, তেমনই টেলিভিশন এর চ্যানেলে চ্যানেলে হবে নানা অনুষ্ঠান ৷ সংবাদপত্র বের করছে বিশেষ ক্রোড়পত্র ৷ সেই সময় দা স্টেটসম্যান সংবাদপত্রের হয়ে বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধ কভার করতে গিয়েছিলেন সেদিনের তরুণ সাংবাদিক অভিজিৎ দাসগুপ্ত ৷ তিনি শোনালেন তাঁর সেই অদ্ভুত অভিজ্ঞতার কথা – একটা গোটা জাতি যেন ছুটছে স্বাধীনতার আকাঙ্খায় ৷ শক্তিশালী প্রতিপক্ষের গুলিতে লুটিয়ে পড়ছে হাজার হাজার মানুষ ৷ তবু অদম্য, অনমনীয় – আমারে দাবায়ে কেউ রাখতে পারবা না – জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সেই বজ্রকঠিন আওয়াজ যেন ধ্বনিত বাংলাদেশের পথে প্রান্তরে ৷ বাংলাদেশের স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর আর শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বর্ষ পালিত হচ্ছে এই বঙ্গেও৷ সেই সময় আকাশবাণী কলকাতা কেন্দ্র থেকে প্রণবেশ সেন গ্রন্থিত দেবদুলাল বন্দোপাধ্যায় কথিত সংবাদভাষ্যগুলি প্রাণিত করেছিল মুক্তিযোদ্ধাদের৷ উপেন তরফদারের নিউজরিল উদ্বুদ্ধ করেছিল বাংলাদেশকে৷ তিনজনই আজ নেই৷ কিন্তু, ১৬ই ডিসেম্বর তাদের সেই কাজের টুকরো ফের প্রচারিত হবে ৷ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে স্মরণ করবে কলকাতা ৷ সার্কাস এভিনিউতে বাংলাদেশ উপদূতাবাসেও নানা অনুষ্ঠানের মধ্যে স্মরণ করা হবে সেই দিনটিকে৷ কলকাতা বইমেলা কর্তৃপক্ষের এবার

আন্তর্জাতিক