জেলা প্রতিনিধি (রংপুর)
রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (রমেক) অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (২০ ডিসেম্বর) সাড়ে ১০টার দিকে রমেকের দুই তলার ৭ নম্বর ওয়ার্ডে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ছয়টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে।
চর্ম ও যৌন, মানসিক রোগসহ মোট ৭টি বিভাগের ৭ নম্বর ওয়ার্ডে প্রায় ৩৫ জন রোগী চিকিৎসাধীন ছিলেন। আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে দায়িত্বরত নার্স ও ওয়ার্ডবয়রা তাৎক্ষণিকভাবে রোগীদের নিরাপদে স্থানান্তর করে। এ ঘটনায় তাড়াহুড়া করে ওয়ার্ড থেকে বের হওয়াসহ সিঁড়ি দিয়ে নামতে গিয়ে ১০ জন আহত হয়েছেন। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি কেউ আহত হয়নি, সব রোগী সুস্থ আছেন।
আগুন লাগার সময়ে থাকা ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইনচার্জ উম্মে কুলসুম জানান, আগুনের ধোঁয়া দেখেই তারা সব বৈদ্যুতিক সংযোগ বন্ধ করে দেন। ওই সময় ওয়ার্ডে ৩৫ জন রোগী ছিলেন। তাদেরকে নিরাপদে ভবন থেকে বের করে আনা হয়।
হাসপাতালের পরিচালক ডা. রেজাউল করিম ও কলেজ অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. একেএম নুরুন্নবী লাইজুসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
ডা. মো. রেজাউল করিম জানান, আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে ফায়ার সার্ভিসকে ফোন দেওয়া হয় ।কোন রোগীর ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। এ ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি করে আগুন লাগার কারণ অনুসন্ধান করা হবে। তাদের তদন্তের রিপোর্টের ভিত্তিতে আগুন লাগার প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
রংপুর ফায়ার সার্ভিসের ভারপ্রাপ্ত উপপরিচালক মো. ছালেহ উদ্দিন জানান, মেডিকেলের তৃতীয় তলার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের করিডোর থেকে ছড়িয়ে পড়া অগ্নিকাণ্ডের খবর সকাল ১০টায় কন্ট্রোল রুমে পাওয়ার পর তড়িৎ গতিতে আমাদের সদস্যরা ঘনাস্থলে যায়। এক ঘণ্টার প্রচেষ্টায় ৬টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
কী কারণে আগুন লেগেছে এখনো তা জানা সম্ভব হয়নি। তবে ধারণা করছি শর্ট সার্কিটের কারণে আগুন লাগতে পারে। ক্ষয়ক্ষতির বিষয়েও এখনো জানা যায়নি বলে জানান তিনি। এদিকে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই), সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিট ঘটনাস্থল থেকে আলমত সংগ্রহ করেছে।