পল্লবীস্থ শেখ কামাল উচ্চ বিদ্যালয়ে এক আলোচনা সভায় মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও প্রাক্তন পানি সম্পদ মন্ত্রী, বঙ্গবন্ধুর স্নেহধন্য জননেতা আব্দুর রাজ্জাকের দশম মৃত্যুবার্ষিকীতে
শরীয়তপুর ফাউন্ডেশনের মহাসচিব মোঃ বাচ্ছু বেপারী বলেন – পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন করতে আমাদের জাতীয় নেতা আব্দুর রাজ্জাক নৈপথ্যে কাজ করেছেন। পদ্মা সেতু প্রথম মাদারীপুর এর পরির্বতে শরীয়তপুর জেলায় আনতে আব্দুর রাজ্জাক নৈপথ্যে কাজ করেছেন। জাতীয়নেতা আব্দুর রাজ্জাকের নৈপথ্যের স্বাক্ষী বাংলাদেশের অনেক জাতীয় নেতৃবৃন্দ।
ফাউন্ডেশনের ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ আমিনুল ইসলাম বুলু বলেন ঃ- জাতীয় বীর আব্দুর রাজ্জাক কে মানুষের মাঝে চিরস্মরনীয় করার স্বার্থে পদ্মা সেতু আব্দুর রাজ্জাকের নামে নামকরণ করার দাবি জানাচ্ছি। আব্দুর রাজ্জাক শুধু আওয়ামীলীগের জাতীয় নেতা ছিলেন না, তিনি ছিলেন সমগ্র বাংলাদেশের মানুষের জাতীয় নেতা। বুলু আরো বলেন, আব্দুর রাজ্জাক দুই দুইবার ছাত্র লীগের সাধারণ সম্পাদক ও দুই বার বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। কিন্তু তার মধ্যে কোন অহমিকা ছিল না। তিনি কর্মীর মত কাজ করতেন। তিনি কর্মীদের নির্দেশ নয়, ভালবাসা দিয়ে কাজ করাতেন। বন্ধবন্ধুর মৃত্যুর পর আব্দুর রাজ্জাক দলকে তৃণমূল থেকে সংগঠিত করার কাজ করেছেন। তিনি দলের জন্য শেষ সময় পর্যন্ত কাজ করে গেছেন।তিনি ছিলেন আধুনিক শরীয়তপুরের রূপকার । সংগ্রাম মুখর বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের অধিকারী আব্দুর রাজ্জাক তার সমগ্র জীবন উৎসর্গ করেছিলেন বাঙালির স্বাধিকার স্বাধীনতা, শান্তি ও সামাজিক মুক্তির আন্দোলনে। ছাত্র জীবন থেকে অমৃত্যু তিনি ছিলেন বাঙালি জাতির প্রতিটি গনতান্ত্রিক আন্দোলনে প্রথম সারির সংগঠক ও নেতা। তিনি ছিলেন ৭১-এর ঘাতক দালাল ও যুদ্ধপরাধীদের বিচারের দাবিতে গড়ে ওঠা আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা। একটি উন্নত সমৃদ্ধ সুখী সুন্দর অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ে তোলার সংগ্রামে প্রয়াত জননেতা আব্দুর রাজ্জাকের অনন্য অবদান বাঙালি জাতি কোন দিনই ভুলবে না।
আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, শরীয়তপুর জেলা সমিতির সভাপতি নুরুল হুদা হাওলাদার,সাংবাদিক রাশেদুল হাসান বুলবুল, মেহেদী হাসান রবি, এম এম বিপ্লব, মোশারফ হোসেন মুসা. লিয়াকত হোসেন প্রমুখ।