নিজস্ব প্রতিবেদক ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার রামরাইল
ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য আপেল প্রতীকে প্রার্থী ছিলেন মানিকুর রহমান। মা-বাবা, স্ত্রী ও দুই ভাইসহ পরিবারে ছয়জন ভোটার। কিন্তু মানিকুর নির্বাচনে মোট ভোট পেয়েছেন তিনটি। এতে ক্ষুব্ধ ও অভিমান করে পরিবারের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণা দিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান তিনি।
মানিকুর রহমান ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার রামরাইল ইউনিয়নের বিজেশ্বর গ্রামের আবদুর রহমানের ছেলে। গতকাল বুধবার পঞ্চম ধাপে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার ১০টি ইউপিতে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এতে রামরাইল ইউপিতে সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে তিনটি ভোট পেয়েছেন মানিকুর।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, দুই ভোটকেন্দ্রে থাকা এজেন্টদের ভোটও পাননি মানিকুর। তিনটি ভোট পাওয়া নিয়ে আজ সকালে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে রাগারাগি করেন তিনি। একপর্যায়ে অভিমান করে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান মানিকুর। পরিবারের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার কথাও জানান তিনি। অবশ্য সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরে আসেন তিনি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে মানিকুরের ছোট ভাই প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার ভাই ও এক চাচা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন। চাচা তিনবারের ইউপি সদস্য। পরিবারের সবাই চাচাকে সমর্থন দিয়েছেন। ভাই রাগ করে সকালে বাড়ি থেকে বের হয়ে গেলেও সন্ধ্যায় ফিরে আসেন।’
নির্বাচনসংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, রামরাইল ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডে দুটি ভোটকেন্দ্র। সেখানে মোট ভোটার ২ হাজার ৮৬ জন। দুটি ভোটকেন্দ্রে মোট ১ হাজার ৪২৮টি ভোট পড়েছে। এর মধ্যে লুক্কু মিয়া নামের এক প্রার্থী ৪৫১ ভোট পেয়ে ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। বর্তমান ইউপি সদস্য মানিকের চাচা আতিকুর রহমান পেয়েছেন ২০৮ ভোট। মানিকুর পেয়েছেন তিন ভোট। তিনি দুটি কেন্দ্রের একটিতে দুই ভোট, আরেক কেন্দ্রে পান এক ভোট।
মানিকুরের চাচা আতিকুর রহমান বলেন, ভাতিজার কারণে তিনি ভোটে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তবে এতে তাঁর কোনো ক্ষোভ নেই। এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানার জন্য মানিকুর রহমানের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করেও তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।