ফের রক্তাক্ত নাইজেরিয়া। লাগাতার দুষ্কৃতী হামলায় উত্তর-পশ্চিম নাইজেরিয়ায় মৃত্যু হলো অন্তত ২০০ জনের। এখনও নিখোঁজ বহু। সপ্তাহের শুরুতেই দুষ্কৃতীদের ঘাঁটির দখল নিয়েছিল সেনা ও পুলিশ বাহিনী। তারই প্রত্যাঘাত হিসেবে নিরীহ গ্রামবাসীদের হত্যা করল দুষ্কৃতীরা। যদিও হত্যালীলার নৃশংসতার কথা স্বীকার করেনি দেশটির প্রশাসন।
বহুদিন ধরেই উত্তর-পশ্চিম এবং মধ্য নাইজেরিয়া দস্যুদের ঘাঁটি। লুটপাট, ধর্ষণ, অপহরণ, খুন-জখম প্রতিদিনের ঘটনা। তবে ২০২০ সাল থেকে এ ধরনের ঘটনার সংখ্যা আরও বেড়েছে। অভিযোগ নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুহাম্মান্দু বুহারি দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ব্যর্থ। আর সেই সুযোগই নিয়েছে দস্যুরা।
সরকারি সূত্রের খবর, জানুয়ারির শুরু থেকে দস্যুদের ঘাঁটি দখলের লড়াই চলছিল। আকাশপথে সে সকল এলাকায় হামলা চালিয়েছিল সেনাবাহিনী। সেই হামলায় একাধিক দুষ্কৃতীকে হত্যাও করা হয়। তারই বদলা নিতে উত্তর পশ্চিম নাইজেরিয়ার জামফারা প্রদেশের একের পর এক গ্রামে হানা দেয় দস্যুদল।
আন্ত্ররজাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, শনিবার (০৮ জানুয়ারী) বাইকে চেপে প্রায় ৩০০ জন জামফারা প্রদেশের পর পর ৮টি গ্রামে হামলা করা করে। নির্বিচারে গুলি চালাতে শুরু করে তারা। নৃশংস হত্যালীলা থেকে রক্ষা পায়নি কেউই। যুবক-যুবতী থেকে শিশু-বৃদ্ধ, সকলকে হত্যা করে তারা। অন্য আরেকটি ঘটনায় আনকা প্রদেশে ৩০ জনকে হত্যা করেছে দস্যুরা।
যদিও ২০০ জনের মৃত্যুর কথা মানতে নারাজ নাইজেরিয়া সরকার। তাদের দাবি, প্রত্যাঘাতে ৫৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। যদিও স্থানীয়দের দাবি, সংখ্যা এর অন্তত ৪ গুণ। শনিবার ওই গ্রামগুলির দখল নিয়েছে সেনাবাহিনী। জানা গেছে, গণকবরে নিহতদের সমাধিস্থ করা হয়। এদিকে নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, দমন অভিযান চলছে। সেনাবাহিনী দস্যুদের একাধিক হাতিয়ার, সম্পত্তি দখল করেছে। আমজনতাকে রক্ষা করতে সেনা ভবিষ্যতেও অভিযান চালাবে