হাসান সোহেল
রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকার ফার্মেসীগুলোতে ভেজাল, মেয়াদোত্তীর্ণ ও নিম্নমানের ওষুধ বিক্রি বাড়ছে। মহানগরীর পাড়া-মহল্লার ফার্মেসীগুলোতে নিম্নমানের ওষুধের ছড়াছড়ি। মূল কোম্পানীর ওষুধের মতো হুবহু লেবেলে নকল ওষুধ বিক্রি হচ্ছে। মূল কোম্পানির ওষুধের চেয়ে দাম কম হওয়ায় এসব ওষুধ কিনে প্রতারিত হচ্ছেন ক্রেতারা। এতে করে স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে। রোগীর লিভার, কিডনি, মস্তিষ্ক, অস্থিমজ্জা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। মূলত ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের নজরদারী না থাকায় নকল ওষুধ বিক্রির রমরমা ব্যবসা চলছে।
জানতে চাইলে মিটফোর্ডের পাইকারি ওষুধ মার্কেটের কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতির ঢাকা বিভাগের সাবেক সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা শেখ ইউনুস আহমেদ ইনকিলাবকে বলেন, ওষুধের বাজারের অবস্থা এমন যে, কোন ওষুধটি আসল বা নকল তা বোঝা দুষ্কর। ভয়াবহতা এমনভাবে বাড়ছে ওই চক্রটির কাছে দিনে দিনে আমরা জিম্মি হয়ে পড়ছি। অল্প কিছু অসাধু ব্যবসায়ীর জন্য পুরো মার্কেটের দুর্নাম হচ্ছে। আর কমিশনের বিনিমেয়ে অসাধু চিকিৎসকদের একটি চক্র প্রেসক্রিপশনে এসব ওষুধ লিখছে। চক্রটির সঙ্গে নির্দিষ্ট কিছু চিকিৎসকের যোগাযোগ রয়েছে। প্রতিদিনই আমরা এই চক্রটির কাছে জিম্মি হয়ে পড়ছি।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন বিভাগের সাবেক ডীন ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ ভেজাল ও নিম্নমানের ওষুধ সম্পর্কে বলেন, এই ওষুধ শরীরের যে রোগের জন্য খাওয়া হচ্ছে, তার কাজ হচ্ছে না। এতে টাকা গচ্চা যাচ্ছে। একই সঙ্গে রোগীর লিভার, কিডনি, মস্তিষ্ক ও অস্থিমজ্জা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মাকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর সায়েদুর রহমান বলেন, নকল ওষুধ উৎপাদন ও বিপণন ভয়াবহ অপরাধ। দৃষ্টান্তমূলক সাজা না হলে এটি থামবে না। এতে রোগ তো সারেই না, উল্টো আরও জটিলতা বাড়ে।বিস্তারিত