নিজস্ব প্রতিবেদক
দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ ৬৮ জন কর্মকর্তার করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে গত ২৭ জানুয়ারি থেকে খনির কয়লা উত্তোলন সাময়িক বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সেইসঙ্গে সেখানে কর্মরত প্রায় ৫’শ বাংলাদেশি শ্রমিককে অনির্দিষ্টকালের ছুটি দেওয়া হয়েছে।
খনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী কামরুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমিসহ খনিতে কর্মরত ৩২ জন বাংলাদেশি এবং চীনা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের ৩৬ জন চীনা কর্মকর্তা-কর্মচারীর শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে। এ অবস্থায় খনিতে কর্মরত দেশী-বিদেশী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়। তা ছাড়া সংক্রমণ প্রতিরোধে খনিতে কয়লা উৎপাদনের কাজ সাময়িক বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
কয়লা উত্তোলন বন্ধ থাকলেও বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিদ্যুৎ উৎপাদনে কোন সমস্যা হবে না দাবি করে এই কর্মকর্তা বলেন, ‘৩ থেকে ৪ মাস বিদ্যুৎ উৎপাদনের চাহিদার কয়লা মজুদ আছে।’
বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, সম্প্রতি খনির অভ্যন্তরে কর্মকর্তা-কর্মচারী-শ্রমিক ও খনির চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সিএমসি-এক্সএমসি কনসোর্টিয়ামের কর্মকর্তা-কমচারীদের মধ্যে করোনার লক্ষণ দেখা দেয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত শুক্রবার বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি লিমিটেডের ৭১ কর্মকর্তা-কর্মচারীর করোনা পরীক্ষা করা হয়। এতে বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মো. কামরুজ্জামানসহ ৩২ জনের করোনা শনাক্ত হয়।
একই দিন খনির চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সিএমসি-এক্সএমসি কনসোর্টিয়ামের ১৮৪ জনের করোনা পরীক্ষা করানো হয়। এদের মধ্যে ৩৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়।
এদিকে, করোনার লক্ষণ দেখা দেওয়ার পর গত ২৭ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার থেকেই খনির কয়লা উত্তোলন কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়। ছুটি দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া কয়লা উত্তোলনের কাজে নিয়োজিত দেশী শ্রমিকদের।