নির্বাচন কমিশন (ইসি) পুনর্গঠনে সার্চ কমিটির কাছে নাম দেবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। গতকাল মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৪টা থেকে পৌনে ৭টা পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে অনুষ্ঠিত দলটির সভাপতিমন্ডলীর সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়। এছাড়া, বিএনপির লবিস্ট নিয়োগ এবং অপপ্রচারের বিষয়ে সোচ্চার হয়ে গঠনমূলক সমালোচনা, দেশ-বিদেশি ষড়যন্ত্রের দিকে নজর রাখাসহ দলের সাংগঠনিক কর্মতৎপরতা বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত হয় দলের এই সর্বোচ্চ ফোরামের সভায়।
সার্চ কমিটিকে দেওয়ার জন্য উপস্থিত নেতৃবৃন্দের কাছে ১০টি করে নাম চান সভার সভাপতি ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। নামগুলো খামে ভরে দিতে বলেন তিনি। এ সময় কয়েকজন সদস্য ১০টি করে নাম দেন। পরে সবাই নাম চ‚ড়ান্ত করার ক্ষেত্রে শেখ হাসিনার ওপর ভরসা রাখেন।
সভায় উপস্থিত একাধিক নেতা আমাদের সময়কে বলেন, ৭টি এজেন্ডা নিয়ে সভায় কথা হয়। প্রথম এজেন্ডা ছিল সার্চ কমিটিতে পাঠানোর জন্য নাম সিলেক্ট করা। দ্বিতীয় এজেন্ডা ছিল বিএনপির লবিস্ট নিয়োগ ও অপপ্রচার ইস্যু। তৃতীয় এজেন্ডা, দেশ-বিদেশি ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকা ও সতর্ক থাকা। এছাড়া সরকারি বিধিনিষেধ উঠে যাওয়ার পর মার্চের শুরুতে দলের ৮ বিভাগে দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের সক্রিয় হওয়া, মেয়াদ উত্তীর্ণ কমিটিতে দ্রæত সম্মেলন করা, ইউপি নির্বাচনে বিদ্রোহীদের পদে না আনা ও নতুন তিন সভাপতিমÐলীর সদস্যকে স্বাগত জানানোসহ দলের অন্যান্য সাংগঠনিক কার্যক্রম নিয়ে আলোচনা হয়।
সভায় নতুন তিন সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম, কামরুল ইসলাম ও খায়রুজ্জামান লিটনকে স্বাগত জানানোর পর তাদের কথা শোনেন শেখ হাসিনা। সভায় উপস্থিত দলের আরেক নেতা বলেন, বিএনপি নেতৃবৃন্দের অপপ্রচার ও বিদেশে লবিস্ট নিয়োগ- এসবের বিপরীতে
সবাইকে সোচ্চার হওয়ার নির্দেশ দেন শেখ হাসিনা। এ সময় দলীয়প্রধান সবাইকে গঠনমূলক সমালোচনা করতে বলেন। একই সঙ্গে দেশের উন্নয়নের চিত্র জনগণের সামনে তুলে ধরার জন্য বলেন।
সভাপতিমÐলীর আরেক সদস্য আমাদের সময়কে বলেন, সভায় নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচন, কয়েকটি উপনির্বাচন ও ইউপি নির্বাচন নিয়ে কথা হয়। এসব নির্বাচনে যারা দলের প্রতি এবং দলীয় প্রতীকের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ না করে; বরং বিরোধিতা করেছে তাদের ভবিষ্যতে দলের গুরুত্বপূর্ণ পদে রাখা হবে না। অপরাধের মাত্রা বেশি হলে তাদের দলের কোনো পদে রাখা হবে না বলেও সভায় সিদ্ধান্ত হয়।
সভায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ছাড়াও সভাপতিমÐলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, কাজী জাফর উল্যাহ, নুরুল ইসলাম নাহিদ, আবদুর রাজ্জাক, ফারুক খান, রমেশ চন্দ্র সেন, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম ও কামরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।