অনুসন্ধান ধামাচাপা অর্ধযুগ ১৭ বীমা কোম্পানির আত্মসাৎ দুই হাজার কোটি টাকা আইনি দুর্বলতার কারণে অপরাধীরা কার্যত অব্যাহতি পেয়ে যান

অনুসন্ধান ধামাচাপা অর্ধযুগ ১৭ বীমা কোম্পানির আত্মসাৎ দুই হাজার কোটি টাকা আইনি দুর্বলতার কারণে অপরাধীরা কার্যত অব্যাহতি পেয়ে যান

সাঈদ আহমেদ

প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ১৭ জীবন বীমা কোম্পানির বিরুদ্ধে অনুসন্ধান ধামাচাপা দিয়ে রেখেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ২০১৬ সালের ২৮ জুন প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করে সংস্থাটি। এরপর ৬ বছর হতে চললেও অনুসন্ধানগুলো নথিভুক্ত (দায়মুক্তি) করেনি। মামলাও দায়ের করেনি। আইনের বিভ্রান্তিকর ব্যাখ্যা, দুর্নীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের কূটকৌশল সর্বোপরি দুদকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ‘বিশেষ বোঝাপড়া’র কারণেই কার্যত বৃহৎ এই অনুসন্ধান ধামাচাপা দিয়ে রাখা হয়েছে। তথ্য নির্ভরযোগ্য সূত্রের।
সূত্রটি জানায়, ১৭টি বীমা প্রতিষ্ঠান ‘ব্যবস্থাপনা ব্যয়’ দেখিয়ে গ্রাহকের কাছ থেকে ১ হাজার ৭৮১ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়। পরিচালনা পর্ষদের সদস্য, ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মাঝে এই অর্থ ভাগাভাগি হয়। এভাবে বীমা কোম্পানিগুলোর চেয়ারম্যানসহ পরিচালনা পর্ষদসহ সংশ্লিষ্টরা ব্যক্তিগতভাবে বিপুল সম্পদের মালিক হন। অনেক অর্থ বীমা প্রতিষ্ঠানের বাইরে অন্য প্রতিষ্ঠানে সরিয়ে নেয়।

বিপুল অর্থ অন্যত্র স্থানান্তর, হস্তান্তর এবং রূপান্তর করে। বীমা-বিধির বাইরে স্থাবর সম্পত্তিও খরিদ করে। বিদেশে অর্থ পাঠায় অনেকে। ইত্যকার তথ্যসম্বলিত অভিযোগের অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। অনুসন্ধানে নেমে সংস্থাটি বীমা ব্যবসার কথিত ‘নিয়ন্তা’ হিসেবে পরিচিত ব্যক্তিদেরও বিপুল অবৈধ সম্পদের অর্জনের তথ্য পায়। প্রতিষ্ঠান থেকে ব্যক্তিপর্যায়ে হাত দেয়ার একপর্যায়ে রহস্যজনক কারণে হিমাগারে চলে যায় অনুসন্ধানটি।

বিস্তারিত
জাতীয়