২০ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ভিসি শূন্য

২০০১ সালে প্রতিষ্ঠিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ ইউনির্ভাসিটি। বেসরকারি এই উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বর্তমানে শিক্ষার্থী রয়েছে প্রায় পাঁচ হাজার। আইন অনুযায়ী এই বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ থাকার কথা। কিন্তু দীর্ঘদিন গুরুত্বপূর্ণ এসব পদ শূন্য থাকায় শিক্ষার্থীরা যেমন অভিভাবকহীন, তেমনিভাবে বিশ্ববিদ্যালয়টির ভাবমূর্তি সংকটে পড়েছে। একই অবস্থা বিরাজ করছে প্রাইমএশিয়া ইউনিভার্সিটি ও  ইউনিভার্সিটি অব ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যান্ড সায়েন্সেসও।

অনুসন্ধান বলছে, শুধু বাংলাদেশ ইউনির্ভাসিটি, প্রাইমএশিয়া ইউনিভার্সিটি অথবা ইউনিভার্সিটি অব ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যান্ড সায়েন্সেসই নয়, আইন থাকার পরও দেশের বেশির ভাগ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে এসব গুরুত্বপূর্ণ পদ বছরের পর বছর ফাঁকা থাকছে অজানা কারণে।

সেশনজট থেকে মুক্তি, উচ্চশিক্ষার বিস্তার ও মানসম্মত শিক্ষা সমপ্রসারণের লক্ষে বেসরকারি পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার অভিযাত্রায় বর্তমানে দেশে অনুমোদিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ১০৮টি। ইতোমধ্যে নানান অনিয়মের অভিযোগে বন্ধ হয়ে গেছে ইবাইস ও কুইন্স ইউনিভার্সিটি। দেশে উচ্চশিক্ষা সমপ্রসারণে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা বাড়লেও মানসম্মত শিক্ষা নিয়ে সংশয় রয়েই গেছে।

ফলে হাতেগোনা কয়েকটি বাদে অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয় যেন চড়াদামে কাগজ বিক্রির স্বীকৃত প্রতিষ্ঠানে রূপ নিয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ইউজিসি থেকে এ সব শূন্যপদ পূরণের  জন্য বারবার তাগিদ দেয়ার পরও আমলে নিচ্ছেন না তারা।

বোর্ড অব ট্রাস্টিজের (বিওটি) সদস্যরা নিজেদের মতো করেই পরিচালনা করছেন এসব বিশ্ববিদ্যালয়। এ যেন বাপবেটার প্রতিষ্ঠান। বছরের পর বছর মালিক-কাম ভিসির দায়িত্ব পালনের ঘটনাও দেখা গেছে। মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও বছরের পর বছর উপাচার্য এবং উপ-উপাচার্য হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ নথিতে স্বাক্ষর করছেন কোনো কোনো উপাচার্য।

শুধু তাই নয়, উচ্চশিক্ষার নামে এসব প্রতিষ্ঠানে উপাচার্য এবং উপ-উপাচার্যসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদ দীর্ঘদিন শূন্য থাকা, পারিবারিক বলয়ে নিয়োগ, গবেষণার নামে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ, শিক্ষক নিয়োগে অদক্ষ ও অপেক্ষাকৃত কম বেতনে নিয়োগ, অবৈধ ক্যাম্পাসে শিক্ষাকার্যক্রম পরিচালনাসহ নানা সমস্যার আতুড়ঘরে পরিণত হয়েছে।

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০১০ অনুযায়ী, বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও ট্রেজারারের শূন্যপদ পূরণের জন্য তিনজনের প্যানেল প্রস্তাব করে পাঠানোর অনুরোধ করা হলেও অনেক বিশ্ববিদ্যালয় তা পাঠায়নি। একাধিকবার এসব শূন্যপদ পূরণের কথা বলা হলেও কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি বেশির ভাগ  বিশ্ববিদ্যালয়কে।

শূন্যপদ পূরণে আবশ্যিকভাবে নাম পাঠানোর নির্দেশ পাওয়ার পরও পদক্ষেপ না নিলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানালেও তা আলোর মুখ দেখেনি। এদিকে উপাচার্য নিয়োগে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা এবং দীর্ঘসূত্রতার কথা বলছেন শিক্ষাবিদরা।

অনুসন্ধানে দেখা গেছে, উপাচার্য নিয়োগের ক্ষেত্রে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইনের ৩১ নম্বর ধারায় সুলিখিত শর্ত উল্লেখ থাকলেও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে নানাভাবে নিযুক্তরা ভিসির দায়িত্ব পালন করছেন। তাদের কেউ স্বঘোষিত। কেউ আছেন তথাকথিত দায়িত্বপ্রাপ্ত। কিন্তু আইনের দৃষ্টিতে ভিসি হচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর বা রাষ্ট্রপতির প্রতিনিধি, যিনি রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত হবেন। অথচ রাষ্ট্রপতির অধিকারও খর্ব করে কোনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের বিওটি ‘ডেজিগনেটেড’ নামে ভিসি নিয়োগ দিচ্ছে।

এছাড়া রাষ্ট্রপতির নিয়োগ দেয়া ভিসির সই ছাড়া কোনো সার্টিফিকেট বৈধ নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের নিয়োগ দেয়া ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যের সার্টিফিকেটে সই করার এখতিয়ার নেই। এরপরও একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যরাই নিয়মিত সাময়িক সনদে সই করে যাচ্ছেন। এই বিধিবদ্ধ নিয়ম যারা মানছেন না তারাই বেআইনি কাজ করছেন বলে জানান বিশেষজ্ঞরা।

ইউজিসি সূত্র জানায়, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী, উপাচার্য, উপ-উপাচার্য পদে নিয়োগ দেন আচার্য ও রাষ্ট্রপতি। তবে প্রাথমিক কাজটি করে থাকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কাছ থেকে প্রস্তাব আসার পর তারাই সরকারের কাছে এসব পদে নিয়োগের জন্য প্রস্তাব পাঠায়। সেটি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় হয়ে  রাষ্ট্রপতির কাছে যায়। আইনানুযায়ী বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজ- এই পদে নিয়োগ দিতে একেকটি পদের বিপরীতে তিনজন অধ্যাপকের নাম প্রস্তাব করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠায়।

সেগুলো ইউজিসির মাধ্যমে যাচাই করে সরকারের উচ্চপর্যায়ে পাঠায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সেখান থেকে আচার্য হিসেবে রাষ্ট্রপতি একজনকে  নিয়োগ দেন। এই প্রক্রিয়ায় ইউজিসির হাতে প্রস্তাব আসার পরই তারা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। কিন্তু যে সব বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য নিয়োগের বিষয়ে প্রস্তাবিত শিক্ষকদের তালিকা দেন না সেই বিশ্ববিদ্যালয়েই উপাচার্য নেই। তবে ইউজিসি থেকে উপাচার্য এবং উপ-উপাচার্য নিয়োগে বারবার তাগাদা দেয়া হলেও  বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ট্রাস্টি বোর্ড থেকে সাড়া মেলেনি।

এ প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক আমার সংবাদকে বলেন, দেশের একাধিক উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দীর্ঘদিন ধরে উপাচার্যের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদ শূন্য থাকায় উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে আমাদের প্রাধান্য কতটা কম এটাই প্রমাণ করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শীর্ষ এ পদ শূন্য থাকায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীর ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। এ প্রভাব পরবর্তীতে দেশের সামগ্রিক শিক্ষা ব্যবস্থাকেই ব্যাহত করতে পারে। প্রশাসনের সদিচ্ছার অভাবেই এ সমস্যা প্রকট হয়ে দাঁড়িয়েছে। যেখানে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে নিয়োগ প্রক্রিয়ার গুরুত্বপূর্ণ অংশ শেষ হওয়ার কথা সেখানে তাদের ভূমিকা স্পষ্ট নয়।

পাশাপাশি যে সব বিশ্ববিদ্যালয় আইন মানছে না তাদের বিরুদ্ধেও মন্ত্রণালয় থেকে পদক্ষেপ গ্রহণ করার কথা থাকলেও তা কার্যকর হচ্ছে না। এদিকে কিছু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাণিজ্যিক স্বার্থ রক্ষায় এসব পদ শূন্য রাখা হচ্ছে। তবে সমস্যা সমাধানে শিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে এ বিষয়ের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। পাশাপাশি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যোগ্য অভিভাবক নির্বাচন করতে হবে।

দীর্ঘদিন ধরে এসব পদ শূন্য থাকায় কেমন প্রভাব পড়তে পারে এমন প্রশ্নের উত্তরে শিক্ষাবিদ ড. মনজুর আহমেদ আমার সংবাদকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য এবং উপ-উপাচার্য না থাকায় গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে সমস্যা হয়। প্রধান ব্যবস্থাপকই যেখানে থাকেন না সেখানে অনিয়ম এবং অব্যবস্থাপনাই স্বাভাবিক। উপাচার্য না থাকলে কোনো বিশ্ববিদ্যালয় সুষ্ঠুভাবে চলতে পারে না। শৃঙ্খলাও থাকে না।

উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য অপরিহার্য অঙ্গ। এসব পদ ফাঁকা রাখা কোনোভাবেই উচিত নয়। কোনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয় অস্থায়ী উপাচার্য দিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করলেও তা শিক্ষার্থীদের জন্য মঙ্গলজনক নয়।

তবে উপাচার্য নিয়োগে দীর্ঘসূত্রতা এবং আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণেও অনেক বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য শূন্য রয়েছে। বর্তমান উপাচার্য নিয়োগ প্রক্রিয়া বেশ জটিল। এখানে রাজনৈতিক এবং আমলাতান্ত্রিক জটিলতা রয়েছে। সংশ্লিষ্টরা দ্রুত কাজ করছেন বলে দায় এড়িয়ে গেলেও প্রেক্ষাপট ভিন্ন।

এসব সমস্যা থেকে বের হতে একটি সার্চ কমিটি গঠন করে ইউজিসিকে উপাচার্য নিয়োগের বিষয়ে দায়িত্ব দেয়া প্রয়োজন এবং অল্প সময়ের মধ্যে সব বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ নিশ্চিত করা প্রয়োজন। সুতরাং নিয়োগের দীর্ঘসূত্রতা এবং জটিলতা কমে এলেই সমস্যাও কমে আসবে।

দেশের উচ্চশিক্ষা প্রদানের এসব প্রতিষ্ঠানে উপাচার্য এবং উপ-উপাচার্যদের পদ দীর্ঘদিন ফাঁকা থাকায় শিক্ষাব্যবস্থায় কেমন প্রভাব পড়তে পারে এমন প্রশ্নের উত্তরে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সাবেক অধ্যাপক ড. ফকরুল আলম আমার সংবাদকে বলেন, পদাধিকার বলে উপাচার্য একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নির্বাহী হওয়ায় এই পদের গুরুত্ব অনেক।

তবে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে দেখা যায়, দীর্ঘদিন এই পদ শূন্য রেখেই সব কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। একটি বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যের মত গুরুত্বপূর্ণ পদ শূন্য থাকায় শিক্ষার্থীদের নানামুখী ভোগান্তি পোহাতে হতে পারে। সুতরাং ট্রাস্টি বোর্ড, ইউজিসি, শিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ উপাচার্য নিয়োগের এই দীর্ঘসূত্রতা কমিয়ে এই দায়িত্ব ইউজিসির ওপর দেয়া যেতে পারে। যেহেতু ইউজিসি সরাসরি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিয়ে কাজ করছে সেহেতু নিয়োগ প্রক্রিয়া ইউজিসির ওপর গেলেই এ সমস্যা কমে আসবে।

ইউজিসি বলছে, উপাচার্য নেই এমন ২০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঝে রয়েছে, গণবিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অব ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যান্ড সায়েন্সেস, প্রাইম এশিয়া ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটি, ইশাখাঁ ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ, এক্সিম ব্যাংক কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ব্রিটানিয়া ইউনিভার্সিটি, ফারইস্ট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, নর্দান ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজি খুলনা, রূপায়ন কে এম শামসুজ্জোহা বিশ্ববিদ্যালয়, আহসানিয়া মিশন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা খান বাহাদুর আহছান উল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয়, শাহ মাখদুম ম্যানেজমেন্ট ইউনিভার্সিটি, ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটি বরিশাল, মাইক্রোল্যান্ড ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, শেখ হাসিনা ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, ইবাইস ইউনিভার্সিটি, দি ইউনিভার্সিটি অব কুমিল্লা ও কুইন্স ইউনিভার্সিটি। উপ-উপাচার্য নেই এমন ৭৭টি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মাঝে রয়েছে ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি চিটাগং, সেন্ট্রাল উইমেন্স ইউনিভার্সিটি, দি পিপলস ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি, লিডিং ইউনিভার্সিটি, বিজিসি ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটি, সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি, সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটি, সিটি ইউনিভার্সিটি, প্রাইম ইউনিভার্সিটি, সাউদার্ন  ইউনিভার্সিটি, শান্ত-মরিয়ম ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি, দি মিলেনিয়াম ইউনিভার্সিটি, ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি, মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি, উত্তরা ইউনিভার্সিটি, ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, ইউনিভার্সিটি অব ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যান্ড সায়েন্সেস, প্রাইম এশিয়া ইউনিভার্সিটি, রয়েল ইউনিভার্সিটি  অব ঢাকা, অতিশ দীপঙ্কর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, আশা ইউনিভার্সিটি, ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটি, ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, নর্থ ইস্ট বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ, ফাস্ট ক্যাপিটাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, ইশাখাঁ ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ, জেড এইচ সিকদার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, এক্সিম ব্যাংক কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, নর্থ ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটি খুলনা, খাজা ইউনুস আলী বিশ্ববিদ্যালয়, ফেনী ইউনিভার্সিটি, ব্রিটানিয়া  ইউনিভার্সিটি, পোর্ট সিটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব হেলথ সায়েন্স, চিটাগাং ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি, নটরডেম বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ, টাইমস ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ, ফারইস্ট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, রাজশাহী সাইন্স অ্যান্ড টেকনোলজি ইউনিভার্সিটি, শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ইউনিভার্সিটি, কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, রনদা প্রসাদ সাহা বিশ্ববিদ্যালয়, জার্মান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, গ্লোবাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ, সিএনএন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ আর্মি ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, সৈয়দপুর, বাংলাদেশ আর্মি ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি কাদিরাবাদ বাংলাদেশ আর্মি ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, কুমিল্লা, দি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব স্কলার, এনপিআই ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, নর্দান ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজি খুলনা, রবীন্দ্র মৈত্রী বিশ্ববিদ্যালয়, সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, রবীন্দ্র সৃজনকলা বিশ্ববিদ্যালয়, ইউনিভার্সিটি অব গ্লোবাল ভিলেজ,  রূপায়ন কে এম শামসুজ্জোহা বিশ্ববিদ্যালয়, আনোয়ার খান মডার্ন ইউনিভার্সিটি, জেড এন আর এফ ইউনিভার্সিটি অব ম্যানেজমেন্ট সায়েন্স, আহসানিয়া মিশন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা খান বাহাদুর আহছান উল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয়, বান্দরবন বিশ্ববিদ্যালয়, শাহ মাখদুম ম্যানেজমেন্ট  ইউনিভার্সিটি, ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটি বরিশাল, ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অব ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ইউনিভার্সিটি অব স্কিল এনরিচমেন্ট অ্যান্ড টেকনোলজি, মাইক্রোল্যান্ড ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, আরটিএম আল-কবির টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি, শেখ হাসিনা ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, দি ইউনিভার্সিটি অব কুমিল্লা এবং কুইন্স ইউনিভার্সিটি।

এছাড়া মেয়াদ শেষ হলেও ভিসি পদে বহাল রেখেছে এমন বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ১৮টি এবং মেয়াদ শেষ হলেও উপ-উপাচার্য পদে বহাল রেখেছে এমন  বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা চারটি।

শিক্ষা