জনতা ব্যাংকের ৫২২ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় দুদকের চার্জশিট

জনতা ব্যাংকের ৫২২ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় দুদকের চার্জশিট

নিজস্ব প্রতিবেদক: ভুয়া রপ্তানি বিল দেখিয়ে প্রায় ৫২২ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় চার্জশিট অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অনুসন্ধান ও তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় চার্জশিট অনুমোদন দিয়েছে দুদক কমিশন। গতকাল সংস্থাটির সচিব মাহবুব হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আসামিরা হলেনÑক্রিসেন্ট গ্রুপ ও মেসার্স রূপালী কম্পোজিট লেদার ওয়্যার লিমিটেডের চেয়ারম্যান এমএ কাদের ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুলতানা বেগম। আর ব্যাংকের কর্মকর্তারা হলেন কৃষি ব্যাংকের সাবেক ডিএমডি ও জনতা ব্যাংকের সাবেক জিএম ফখরুল আলম, জিএম মো. রেজাউল করিম, ডিজিএম এ কে এম আসাদুজ্জামান, মুহাম্মদ ইকবাল, কাজী রইস উদ্দিন আহমেদ, এজিএম মো. আতাউর রহমান সরকার, ব্যাংকের হিউম্যান রিসোর্সেস ডিভিশনের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন, মো. মনিরুজ্জামান, মো. সাইদুজ্জামান, প্রিন্সিপাল অফিসার মোহাম্মদ রুহুল আমীন, সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার মো. মাগরেব আলী, বাহারুল আলম ও মো. খায়রুল আমিন।

তাদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি, ১৮৬০-এর ৪০৯/১০৯/৪২০/৪৬৭/৪৭১ এবং ১৯৪৭ সনের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারা এবং মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২-এর ৪ (২), (৩) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।

অন্যদিকে ফৌজদারি অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় সোনালী ব্যাংকের ডিএমডি মো. জাকির হোসেনের নাম অনুমোদিত চার্জশিট থেকে বাদ দেয়া হয়েছে। তবে দায়িত্ব অবহেলার জন্য তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ রয়েছে তদন্ত প্রতিবেদনে।

তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান শিগগিরই আদালতে চার্জশিট দাখিল করবেন। ২০১৯ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর চকবাজার থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়েছিল। তফসিলভুক্ত হওয়ার পরে দুদক সেটি আমলে নেয়।

তদন্ত প্রতিবেদন সূত্রে জানা গেছে, আসামিরা ক্ষমতার অপব্যবহার করে জনতা ব্যাংক লিমিটেডের প্রধান কার্যালয়ের শর্ত লঙ্ঘন করে রপ্তানি না করেও ভুয়া ডকুমেন্ট দেখিয়ে এফডিবিপি ও প্যাকিং ক্রেডিট বাবদ টাকা উত্তোলন করেন। রপ্তানি ঋণ সুবিধা পেতে ভুয়া রপ্তানি বিলের বিপরীতে মেসার্স রূপালী কম্পোজিট লেদার ওয়্যার লিমিটেডের অনুকূলে জনতা ব্যাংক থেকে ৪৫৪ কোটি ১০ লাখ ৮৭ হাজার ৩৮৪ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন। পরে তা স্থানান্তর ও রূপান্তরের মাধ্যমে অবস্থান গোপন করে দেশের অভ্যন্তরে বা দেশের বাইরে পাচার করেছেন। ওই টাকা সুদ-আসলে ৫২১ কোটি ৭০ লাখ ৫১ হাজার ৬৩৪ টাকায় দাঁড়িয়েছে।

এ ঘটনায় ২০১৯ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি ক্রিসেন্ট ট্যানারিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান এমএ কাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। এক বছর পর তিনি জামিন পান বলে জানা গেছে। জনতা ব্যাংক থেকে ১ হাজার ৭৪৫ কোটি ৬৬ লাখ ৭৯ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে তখন মোট ৫টি মামলা দায়ের করা হয়েছিল।

অর্থ বাণিজ্য