বৈশ্বিক বাজারে দাম বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে অভ্যন্তরীণ বাজারে ভোজ্যতেলের দাম নিয়ন্ত্রণে এর ওপর আরোপিত মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
সোমবার (৭ মার্চ) ভোজ্যতেল পরিস্থিতি নিয়ে বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশন (এফবিসিসিআই) আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় ব্যবসায়ীরা এই দাবি জানান।
সভায় আমদানিকারক ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা জানান, অভ্যন্তরীণ বাজারের চাহিদা মোতাবেক ভোজ্যতেল আমদানি করা হয়েছে। যে পরিমাণ পরিশোধিত ও অপরিশোধিত তেল বর্তমানে বাজারে রয়েছে, তাতে রমজান পর্যন্ত ভালভাবে চলে যাবে, কোনো সংকট হবে না।
বেশি দামে বিক্রি করায় ২২৫ লিটার তেল জব্দ, ৩ ব্যবসায়ীকে জরিমানা বেশি দামে বিক্রি করায় ২২৫ লিটার তেল জব্দ, ৩ ব্যবসায়ীকে জরিমানা
এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ভোজ্যতেলের দাম নিয়ন্ত্রণে প্রতিবেশী দেশ ভারত তিনবার শুল্ক ও ভ্যাট সমন্বয় করেছে। যেহেতু আমরা করোনার মত একটা মহামারির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি, তাই আন্তর্জাতিক বাজারের প্রেক্ষিতে দেশে ভোজ্য তেলের মূল্য সমন্বয়ের জন্য ভ্যাট প্রত্যাহার করা প্রয়োজন। আগামী তিন মাসের জন্য ভোজ্য তেলের ওপর ভ্যাট প্রত্যাহারের জোর দাবি জানাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, তেলের ঘাটতি না থাকার পরও সয়াবিন তেলের দামবৃদ্ধি অস্বাভাবিক। গুটি কয়েক অসাধু ব্যবসায়ীদের জন্য পুরো ব্যবসায়ী সমাজের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হচ্ছে। সরকার নির্ধারিত মূল্য সবাইকে ভোজ্য তেল বিক্রি করতে হবে।
সভায় ভোজ্য তেল আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান সিটি গ্রুপের পরিচালক বিশ্বজিৎ সাহা জানান, মিল মালিকদের পক্ষ থেকে বাজারে সরবরাহে কোনো ঘাটতি নেই। প্রতিদিন দুই হাজার থেকে আড়াই হাজার মেট্রিক টন তেল সিটি গ্রুপের কারখানা থেকে সরবরাহ করা হচ্ছে। তিনি বাজার নিয়ন্ত্রণে কোরবানি পর্যন্ত ভোজ্য তেলের ওপর থেকে ভ্যাট প্রত্যাহারের আহ্বান জানান।
২ বছরের মধ্যে শেয়ারবাজারে সর্বোচ্চ ধস ২ বছরের মধ্যে শেয়ারবাজারে সর্বোচ্চ ধস
টিকে গ্রুপের পরিচালক শফিউল তাছলিম জানান, প্রতি লিটার সয়াবিন তেলে সরকার ২৫ থেকে ২৭ টাকার ভ্যাট পায়। বর্তমান সময়ে এই ভ্যাট প্রত্যাহার করলে মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে।
এফবিসিসিআই সভাপতি জসীম উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু, সহ-সভাপতি মো. হাবীব উল্লাহ ডন, মৌলভীবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মো. বশির উদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।