এসএম আলমগীর
বাজারে এমন কোনো ভোগ্যপণ্য নেই যার দাম বাড়েনি। বিশ্ব বাজারে দাম বৃদ্ধির অজুহাতে বাড়ানো হয়েছে ভোজ্য তেল, চিনি, ছোলা, ডালের মূল্য। কিন্তু চাল, পেঁয়াজ, মুরগির মতো অনেক পণ্য আছে যেগুলো দেশীয় উৎস থেকেই মেটে চাহিদা। এসব পণ্যের উৎপাদন ও সরবরাহ প্রচুর থাকার পরও তো দাম বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। তা ছাড়া আমদানি করা পণ্যগুলোর দাম বিশ্ব বাজারের উচ্চমূল্যের কারণে যেটুকু বৃদ্ধির কথা, বাস্তবে দাম বাড়ে তার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি। বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, দেশে ভোগ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির পেছনে প্রধান কারণ থাকে ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট। কিন্তু এই সিন্ডিকেট ভাঙবে কে এবং বাজার সিন্ডিকেটের যাবা রাঘববোয়াল তাদের ধরবে কে।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত এক-দেড় বছর ধরেই ভোগ্যপণ্যের মূল্য চরম ঊর্ধ্বমুখী। অথচ বাজারে সরকারি কোনো সংস্থার তেমন নজরদারি বা জোরালো অভিযান চোখে পড়েনি। সম্প্রতি ভোজ্য তেলের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির কারণে আলোচনা-সমালোচনা হলে টনক নড়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর। এক রকম বাজারে ঝাঁপিয়ে পড়েছে এসব প্রতিষ্ঠানের মোবাইল টিম। কিন্তু তারা অভিযানে নেমে অধিকাংশ সময়ই খচুরা বাজারে গিয়ে মুদি দোকানদারদের জরিমানা করেন। অথচ যারা বাজার সিন্ডিকেটের মূলে রয়েছে, সেই আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান, মিলমালিক এবং যারা কোটি কোটি টাকার এসও (সেলস অর্ডার) এবং ডিও (ডেলিভারি অর্ডার) নিয়ে পণ্য মজুদ ও জিম্মি করে রাখে তাদের বিরুদ্ধে সে রকম জোরালো কোনো অভিযান চোখে পড়ে না। মাঝেমধ্যে এ পর্যায়ে অভিযান চালালেও অনেক সময় অদৃশ্য ফোনকলে অভিযান রেখে ফিরে আসতে হয় আবার কখনও কোনো রকম জরিমানা ছাড়াই চলে আসতে হয় মোবাইল টিমের সদস্যদের। অথচ বাজার অভিযানে নেমে একই দিনে অসংখ্য দোকানদারকে জরিমানা করা হয় লাখ লাখ টাকা।বিসস্তারিত