আবাসিক ভবনে ভুয়া ট্রেড লাইসেন্সে বাণিজ্যিক কার্যক্রম, বাড়ি সিলগালা

আবাসিক ভবনে ভুয়া ট্রেড লাইসেন্সে বাণিজ্যিক কার্যক্রম, বাড়ি সিলগালা

নিজস্ব প্রতিবেদক

ভুয়া ট্রেড লাইসেন্সের মাধ্যমে আবাসিক ভবনে বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনার অভিযোগে রাজধানীর ধানমন্ডির একটি বাড়ি সিলগালা করে দিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকা দক্ষিণ সিটির ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে বাড়িটি সিলগালা করে দেয়।

মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে ঢাকা দক্ষিণ সিটির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আবু নাছের গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন। এতে বলা হয়, ওই অভিযান পরিচালনা করেছেন সংস্থাটির অঞ্চল-১ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. হায়দার আলী। ধানমন্ডি ১ নম্বর রোডে ‘লেডি এন বস’ নামক ৪১ নম্বর হোল্ডিংয়ের একটি বাড়ি সিলগালা করা হয়েছে।‌

 

বাড়ি সিলগালা প্রসঙ্গে মো. হায়দার আলী বলেন, ‘আবাসিক এলাকায় বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনায় না করতে হাইকোর্টের নির্দেশনা রয়েছে। এছাড়া ভুয়া ট্রেড লাইসেন্সের মাধ্যমে ভবনটিতে বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনা করে হচ্ছিল। তাই, বাড়িটি সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে।’

এদিকে মঙ্গলবার রাজধানীর গুলিস্তানে ফুলবাড়িয়া সুপার মার্কেট, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে ও ধানমন্ডি এলাকায় পৃথক অভিযান পরিচালনা করেছে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের একাধিক ভ্রাম্যমাণ আদালত। অভিযানে ২ জনকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

 

সংস্থাটির জনসংযোগ শাখার থেকে জানানো হয়, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবদুস সামাদ শিকদার ও আফিফা খান ফুলবাড়িয়া সুপার মার্কেট-২–এর এ ও বি ব্লকের ৬ষ্ঠ, ৭ম ও ৮ম তলার অবৈধ দোকান ও দখলদার উচ্ছেদে অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় অবৈধভাবে দখলকৃত দোকান খালি করার জন্য নির্দেশ দিলে অধিকাংশ দখলদারেরা দোকান খালি করে দেন। কিছু দোকান থেকে মালামাল সরিয়ে নিতে গড়িমসি করলে দোকানের মালামাল তাৎক্ষণিক নিলামের মাধ্যমে ৭১ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়।

ধানমন্ডি ১ নম্বর রোডে ‘লেডি এন বস’ নামক ৪১ নম্বর হোল্ডিংয়ের একটি বাড়ি সিলগালা করা হয়
ধানমন্ডি ১ নম্বর রোডে ‘লেডি এন বস’ নামক ৪১ নম্বর হোল্ডিংয়ের একটি বাড়ি সিলগালা করা হয়ছবি: সংগৃহীত
অপরদিকে করপোরেশনের সম্পত্তি কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোহাম্মদ মুনিরুজ্জামানের নেতৃত্বে ঢাকা মেডিকেলের সামনের ফুটপাত থেকে অস্থায়ী অবৈধ স্থাপনা অপসারণ করা হয়। এ সময় জব্দকৃত মালামাল ১০ হাজার টাকায় নিলামে বিক্রি করা হয়। পাশাপাশি চারটি মামলায় ৪ জনকে ৪ হাজার ১০০ টাকা জরিমানা করা হয়। এ ছাড়া সরকারি নির্দেশ অমান্য করে ফুটপাত দখল করে দোকান বানিয়ে জনসাধারণের চলাচলে বাধা সৃষ্টি করায় মোহাম্মদ জসিম ও মোহাম্মদ আল আমিন নামের দুই ব্যক্তিকে যথাক্রমে ১৫ দিন ও ৭ দিনের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।
পরে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোহাম্মদ মুনিরুজ্জামানের নেতৃত্বে শাহবাগে পদচারী সেতুর নীচের অবৈধ দোকান উচ্ছেদ করা হয়।

রাজনীতি