দেশে চাঁদাবাজির সবচেয়ে বড় খাত পরিবহন। প্রতিদিন এ সেক্টরে শত কোটি টাকা চাঁদা আদায় হয়। সড়ক-মহাসড়কে আগে গাড়ি আটকে তোলা হতো চাঁদা। এখন পাল্টেছে ধরন। গাড়ি ছাড়ার সময়ই নির্ধারিত স্থানে অনেকটা গোপনে গুঁজে দেয়া হচ্ছে চাঁদার টাকা। তবুও মাঝ পথে থেকেই যাচ্ছে পুলিশসহ বিভিন্ন শ্রমিক ইউনিয়নের বাগড়া। পুলিশসহ ইউনিয়নের পকেটে টাকা পড়লেই গাড়ি ছুটে নির্দিষ্ট গন্তব্যে।
অভিযোগ রয়েছে, পুলিশ সদস্য ও পরিবহন শ্রমিকরা মিলেই গড়ে তুলেছে শক্তিশালী সিন্ডিকেট। পরস্পরের যোগসাজশে কৌশলে সড়ক-মহাসড়কে চলছে টাকার খেলা। খোদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আইজিপি যত্রতত্র চাঁদাবাজি বন্ধে তৎপরতা দেখালেও কার্যত বন্ধ হয়নি সড়কে চাঁদাবাজ সিন্ডিকেটের অপতৎপরতা। পথে পথে চাঁদা গুনতে হচ্ছে গাড়িচালকদের। আর এই চাঁদার টাকার ষোলআনাই তুলে নেয়া হচ্ছে যাত্রীদের পকেট থেকে। এর একটি বড় অংশ যাচ্ছে সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রকদের হাতে। পরিবহন নেতারা বলছেন, মহাসড়কে কোনো চাঁদা তোলা হয় না। শুধু শ্রমিক ফেডারেশনের নির্ধারিত শ্রমিকদের জন্য কল্যাণ চাঁদা নেয়া হয়।
অন্যদিকে পুলিশ বলছে, সড়ক-মহাসড়কে পরিবহন চাঁদাবাজি বন্ধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে তারা। অথচ হালের বাড়তি ভাড়া ও দুর্ঘটনা বৃদ্ধিসহ দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে পরিবহন চাঁদাবাজি। ঢাকার রাস্তায় চলতে একটি বাসকে দৈনিক গড়ে এক হাজার থেকে দুই হাজার ২০০ টাকা চাঁদা দিতে হয়। এই টাকা তুলতে বাসগুলোর বাড়তি ট্রিপ মারার প্রবণতায় পেয়ে বসে, যার ফলে ঢাকায় প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। বিস্তারিত