অনলাইন রিপোর্টার ॥ ভোজ্যতেলের আমদানিকারক ও সরবরাহকারী চার কোম্পানির জবাবে সন্তষ্ট না হয়ে আগামী বুধবার আবারও শুনানিতে ডেকেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। কোম্পানিগুলো হল – টিকে গ্রুপ, এস আলম গ্রুপ, বাংলাদেশ এডিবল অয়েল ও বসুন্ধরা গ্রুপ।
বুধবার এ চার কোম্পানির প্রতিনিধিদের সঙ্গে শুনানি শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন অধিদফতরের পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার।
তেল আমদানি, পরিশোধন ও সরবরাহকারী এসব কোম্পানি ছাড়াও দামে ‘কারসাজির’ সঙ্গে অন্যান্য পর্যায়ের ব্যবসায়ীদের সংশ্লিষ্টতা যাচাইয়ে মৌলভীবাজার ও খাতুনগঞ্জের পাইকারি ব্যবসায়ীদের তালিকাও চাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
সম্প্রতি আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়ার কথা বলে স্থানীয় বাজারে ভোজ্যতেলের দাম সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে লিটারে অন্তত ৩০ পর্যন্ত বেশি নেওয়া হয়। কোথাও কোথাও তেল পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগও ওঠে।
এরপর সরকারি বিভিন্ন পদক্ষেপের অংশ হিসেবে আমদানি পর্যায়ে ভ্যাট কমানো হয় এবং উৎপাদন ও পরিশোধন পর্যায়ে ভ্যাট তুলে নেওয়া হয়।এ সময়কালে বাজার অভিযানের পাশাপাশি ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদফতর তেল সরবরাহ ও পরিশোধনকারী কোম্পানিগুলোর কারখানা পরিদর্শন শুরু করে। পরিদর্শনে বেশ কিছু তথ্য ‘গরমিল’ ও ‘অনিয়ম’ পাওয়ার কথা জানানো হয় অধিদফতরের পক্ষ থেকে।
এরপর এসব বিষয়ে আরও বিস্তারিত জানতে তেল কোম্পানিগুলোকে অধিদফতরে তলব করা হয়। একই সঙ্গে ভ্যাট তুলে নেওয়ার পর কী পরিমাণ তেল আমদানি করা হয়েছে সে তথ্যও জানতে চায় অধিদফতর।এসব পদক্ষেপের অংশ হিসেবে বধুবার এ বৈঠক ডাকা হয়; যাতে তেল কোম্পানিগুলোর প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
বৈঠক শেষে অধিদফতরের পরিচালক শাহরিয়ার সাংবাদিকদের বলেন, “বৈঠকে তারা যেসব তথ্য দিয়েছে তা আমাদেরকে সন্তুষ্ট করতে পারেনি। এ জন্যই আমরা তাদেরকে অধিকতর শুনানির জন্য ডেকেছি।গত রোজার তিন মাস আগে প্রত্যেকটা মিল কতটা প্রোডাকশনে ছিল, এবারের রোজার তিন মাস আগে কতটুকু ছিল, এসব তথ্য আগামী বুধবারের বৈঠকে দিতে বলা হয়েছে।”
মঙ্গলবার থেকে সরকার নির্ধারিত প্রতিলিটার ১৬০ মূল্যের বোতলজাত তেল বাজারে আসছে জানিয়ে তিনি এর চেয়ে কেউ বেশি মূল্য চাইলে ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের হট লাইন ১৬১২১ নম্বরে জানানোর জন্য সর্বসাধারণকে অনুরোধ করেন তিনি।