রোজার ঈদ সামনে রেখে এবার ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হবে ২৩ এপ্রিল থেকে; কাউন্টারের পাশাপাশি অনলাইনেও কেনা যাবে এসব টিকিট।
বাংলাদেশ রেলওয়ে সোমবার(১১ এপ্রিল) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ২৩ এপ্রিল বিক্রি হবে পাঁচ দিন পরের, অর্থাৎ ২৭ এপ্রিল যাত্রার টিকিট।
একইভাবে ২৪ এপ্রিল মিলবে ২৮ এপ্রিলের, ২৫ এপ্রিল মিলবে ২৯ এপ্রিলের, ২৬ এপ্রিল মিলবে ৩০ এপ্রিলের এবং ২৭ এপ্রিল ১ মের টিকিট।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ২ মে ঈদ হবে ধরে নিয়ে টিকিট বিক্রির এই সময়সূচি নির্ধারণ করেছে রেলওয়ে। রোজা ৩০টি হলে, অর্থাৎ ৩ মে ঈদ হলে ২৮ এপ্রিল বিক্রি হবে ২ মের ট্রেনের টিকীট।
আর ঈদের পর ফিরতি যাত্রা শুরু হবে ৫ মে। সেদিনের ট্রেনের আগাম টিকিট বিক্রি হবে ১ মে। ঈদযাত্রার বিক্রি হওয়া টিকিট ফেরত নেওয়া হবে না।
স্টেশনের কাউন্টারে টিকিট বিক্রি শুরু হবে সকাল ৮টা থেকে। কমলাপুর স্টেশনে ২৩টি কাউন্টারে টিকিট বিক্রি হবে। একটি কাউন্টার থাকবে নারীদের জন্য সংরক্ষিত। আর অনলাইনে টিকেট পাওয়া যাবে সকাল ৬টা থেকে।
রেলওয়ে জানিয়েছে, এবার যাত্রী পরিবহন সক্ষমতা বাড়াতে ৯৩টি অতিরিক্ত বগি যুক্ত করা হবে রেলের বহরে। নিয়মিত ১০২টি আন্তঃনগর ট্রেনের সঙ্গে বিশেষ ছয় জোড়া ট্রেন চলবে।
ঈদের আগে ঢাকা-কলকতা রুটের মৈত্রী এক্সপ্রেস চালু না হলে, তার ইঞ্জিন ও বগি দিয়ে ‘খুলনা স্পেশাল’ নামে ঢাকা-খুলনা রুটে একটি বাড়তি ট্রেন চালানো হবে। ঈদের দিন শোলাকিয়া স্পেশাল নামে এক জোড়া ট্রেন চলবে।
যাত্রীসেবা বাড়াতে ২৫ এপ্রিল থেকে সব ট্রেনের সাপ্তাহিক ছুটি বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।