একে একে গড়ে তোলেন সম্পদের পাহাড়। গোয়ালন্দ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি নুরু মণ্ডলের হাত ধরেই নজরুলের উত্থান। দুজন সম্পর্কে চাচাতো ভাই। নুরু মণ্ডল তেমন পড়াশোনা জানতেন না। তার অবর্তমানে যেকোন কর্মসূচিতে কথা বলতেন নজরুল মণ্ডল। নুরু মণ্ডল মারা যাওয়ার পর এলাকার পুরো নিয়ন্ত্রণ নেন নজরুল মণ্ডল। বর্তমানে পৌর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্বে থাকা নজরুলের এক সময় ছিল ভাঙা ঘর। জরাজীর্ণ পৈতৃক বাড়ি নদীতে ভেঙে গেলে গোয়ালন্দ শহরে প্রধান সড়কের পাশে নতুন জায়গা কিনে গড়ে তুলেছেন আলিশান বাড়ি। চলাচল করেন বুলেটপ্রুপ গাড়িতে। নজরুলের বর্তমান বাড়িটির মূল্য কয়েক কোটি টাকা। তার স্ত্রীর চলাচলের জন্য ব্যবহৃত গাড়িটির দামও কোটি টাকা। রাজবাড়ীতে নজরুলের রয়েছে ১৫০ বিঘার মতো জমি। এছাড়া ৫০ বিঘার উপর রয়েছে বালুর চাতাল। মেয়র হওয়ার পর থেকে পৌরসভার সকল টেণ্ডার নিয়ন্ত্রণ করেন নজরুল। এখান থেকে কেউ কোনো কাজ নিতে হলে তাকে দিতে হয় ১৬ পারসেন্ট কমিশন। এছাড়া চাকরি দেয়ার নাম করে এবং পৌরসভার বিভিন্ন কাজের জন্য জমি ক্রয় করার কথা বলে হাতিয়ে নিয়েছেন লাখ লাখ টাকা।বিস্তারিত
হাজার টাকার কর্মী থেকে শত কোটি টাকার মালিক মেয়র নজরুল
নজরুল ইসলাম মণ্ডল। গোয়ালন্দ পৌরসভার মেয়র। ২০০৩ সালে চাকরি শুরু করেন পায়াক্ট নামের একটি এনজিওতে। শুরুতে ছিলেন পিআর অর্গানাইজার। বেতন এক হাজার। ২০০৯ সালে যোগ দেন আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে। একপর্যায়ে ছেড়ে দেন চাকরি। রাতারাতি পাল্টে যায় তার কপাল।