রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ভাষায় ‘রাজনীতির মাঠ দখলে যার নির্বাচনে ভোটও তার’। ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভূমিধ্বস পরাজয়ে পর থেকেই দল পুনর্গঠনে মনোযোগী হয়ে উঠেছে বিএনপি। অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে ২০২৩ সালের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে টার্গেট রেখে তখন থেকেই তৃণমূল থেকে দলকে ঢেলে সাজানোর প্রক্রিয়া শুরু করে দলটি। নির্বাচনের এখনো দেড় বছরেরও বেশি সময় বাকী রয়েছে। এরই মধ্যে র্যাবের বিরুদ্ধে মার্কিন নিষেধাজ্ঞাসহ মেগা প্রকল্পে মেগা দুর্নীতি, বিদেশে টাকা পাচার, গণতন্ত্রহীনতা, মানবাধিকার লংঘন, আইনকে ইচ্ছেমতো পরিচালিত করাসহ মত প্রকাশের স্বাধীনতাহরণের কারণে দেশে-বিদেশে ক্ষমতাসীন সরকারের ইমেজ তলানিতে পড়ে গেছে বলে মনে করছেন বিএনপি নেতারা। সেই সঙ্গে জাতিসংঘ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ উন্নয়ন সহযোগী প্রভাবশালী দেশগুলো আগামী নির্বাচনের দিকে নজর রাখার ইঙ্গিত দিয়েছে। আর তাই আগেভাগেই রাজপথ উত্তপ্ত করতে চান বিএনপির নেতারা। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি, নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারসহ একগুচ্ছ জনদাবিকে সম্পৃক্ত করে শিগগিরই মাঠে নামতে যাচ্ছে রাজপথের প্রধান বিরোধী দল হিসেবে পরিচিত বিএনপি। মাঠের আন্দোলনের মধ্যেই তারা ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে একঘরে করে বৃহৎ ঐক্য গড়ে তুলতে চান। আর এর নেপথ্যের নেতৃত্বে রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে বহুদিন ধরে চলছে এক দল কেন্দ্রিক রাজনীতি। শক্তিশালী বিরোধী দল না থাকায় ক্ষমতাসীন দলের ইচ্ছা অনিচ্ছার উপর সবকিছু চলছে। সংসদে বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সরকারের ‘নাচের পুতুল’ হিসেবে যেমনে নাচায় তেমনে নাচছে। মাঠের বিরোধী দল হিসেবে পরিচিত বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে লক্ষাধিক মামলায় ৩৫ লাখ নেতাকর্মী আদালত-কারাগারে আসা যাওয়া করছে। দলটির কিছু নেতা কথামালার মাধ্যমে নিজেদের অস্থিত্ব টিকিয়ে রাখছে। ফলে ২০ দলীয় জোটের শরীকদের মধ্যে অবিশ্বাসের সৃষ্টি হয়। তবে বিএনপির প্রবাসী নেতা তারেক রহমান কয়েক মাস ধরে কেন্দ্র থেকে শুরু করে তৃর্ণমূল পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে ভার্চ্যুয়ালি বৈঠক করে নেতাকর্মীদের চাঙ্গা করেছেন। আর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কারণে সরকারও চাপের মুখে পড়ে গেছে। এ অবস্থায় মাঠে আন্দোলনের মাধ্যমে ঐক্য গড়ে তোলার কৌশল সুচিন্তিত। স্বৈরশাসক এরশাদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ঐক্য ও তিন জোটের রুপরেখা তৈরি হয়েছিল মাঠের আন্দোলনের মাধ্যমেই।
এ প্রসঙ্গে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, মানুষ বিএনপির দিকে তাঁকিয়ে আছে। এখন একটাই কাজ করতে হবে, এমন আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে সরকার যাতে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয় এবং পালাবার কোনো পথ না পায়। আমি যদি জনগণের জন্য আন্দোলন করি, ন্যায্য আন্দোলন করি মানুষের কাছে যাবো, মানুষের সাথে বসব, তার সাথে কথা বলব। ডাক দেবো আপনাদের, সারা বাংলাদেশ বন্ধ হয়ে যাবে, বন্ধ হয়ে যাবে ওদের ক্ষমতার আস্ফালন, ওদের ক্ষমতার লাঠি ঘুরানোও বন্ধ হবে, ক্ষমতার দাপট দেখানো বন্ধ হবে, পদত্যাগ করতে বাধ্য হবে।
বিএনপির একাধিক নেতা জানান, সামনে যে সরকারবিরোধী আন্দোলনের ঘোষণা আসবে সেটিতে দলের সকল পদধারী নেতাকে বাধ্যতামূলক অংশগ্রহণ করার নির্দেশ দিয়েছেন তারেক রহমান। প্রতিটি কমিটির সাথে তিনি পৃথকভাবে বৈঠকে এমন নির্দেশনা দিয়েছেন। পদ নিয়ে যেসব নেতা নিষ্ক্রিয় থাকবেন তাদের ব্যাপারে কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণের হুশিয়ারিও দিয়েছেন তিনি।
দলটির নেতারা বলছেন, দলীয় সরকারের অধীনে এবং বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত না করে বিএনপি আর কোন নির্বাচনে অংশ নেবে না। কারণ দলীয় সরকারের অধীনে যে নির্বাচন সুষ্ঠু হয় না তা প্রমাণিত হয়েছে। তাই নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া কোন বিকল্প নেই। তারা বলেন, এখন পর্যন্ত বিএনপি সরকারের কাছে দাবি জানিয়ে আসছে। তবে শিগগিরই দাবি আদায়ে মাঠে নামতে যাচ্ছেন তারা। এক্ষেত্রে বিএনপি ছাড়া একই দাবিতে একমত আছেন এমন দলগুলোকেও পাশে চায় বিএনপি। সেক্ষেত্রে একটি দাবিতে ঐক্যবদ্ধ কিংবা যুগপৎ যেকোন ভাবেই রাজপথ উত্তপ্ত করার পক্ষে দলটির নেতারা। এজন্য ইতোমধ্যে সমমনা বিভিন্ন দলের নেতাদের সাথে বৈঠক করেছেন বিএনপির একাধিক নেতা। সরকারবিরোধী বেশিরভাগ দলই নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের ইস্যুতে আন্দোলনে একমত হয়েছেন। তবে সেটি কোন পদ্ধতিতে হবে সেটি এখনো ঠিক হয়নি। এদের মধ্যে কেউ কেউ বিএনপিকে মাঠে নামার পরামর্শ দিয়েছেন।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, আন্দোলন ও নির্বাচনের প্রস্তুতি হিসেবে পুরোদমে কাজ চলছে বিএনপিতে। এরই অংশ হিসেবে ৮১টি সাংগঠনিক জেলার মধ্যে প্রায় ৬৫টি পুনর্গঠন শেষ হয়েছে। বাকীগুলোর কাজও শেষ পর্যায়ে। একই সময়ে চলছে উপজেলা, পৌর ও ওয়ার্ড কমিটি গঠনের কাজও। বিএনপির পাশাপাশি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোও ঢেলে সাজানো হচ্ছে। গতকালই ছাত্রদলের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। এর আগে কৃষক দল ও জাসাসের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়। শিগগিরই যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, মহিলা দলসহ অন্যান্য অঙ্গসংগঠনেরও নতুন কমিটি ঘোষণা করা হবে বলে জানা গেছে। অঙ্গসংগঠনগুলো মহানগর, জেলাসহ বিভিন্ন ইউনিটের মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি পুনর্গঠন করছে। ঢাকা মহানগরকে আন্দোলন ও নির্বাচনমুখী করতে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। দুই সিটির আহ্বায়ক কমিটি প্রতিটি থানা ও ওয়ার্ড কমিটিতে নতুন নেতৃত্ব আনতে কাজ করছে।
যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদল, মহিলা দল, কৃষকদলও জেলা, উপজেলা, থানা, পৌর এবং ওয়ার্ড পর্যায়ে কমিটি গঠনের কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে।
বিএনপি নেতারা জানান, বিএনপি এখনো আন্দোলনের মধ্যেই রয়েছে। রমজানের আগে থেকে ফের নতুন করে দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি, গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানির মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে কর্মসূচি পালন করেছে। মহানগর, জেলা, উপজেলায় বিক্ষোভ, লিফলেট বিতরণের মাধ্যমে জনগণকে সরকারের অপকর্মের বিরুদ্ধে সচেতন ও ঐক্যবদ্ধ করছেন তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। রমজানের মধ্যেও ইফতার মাহফিলসহ নানা কর্মসূচিতেও এটি অব্যাহত রয়েছে। ঈদের পর ফের সরকার পতনের নতুন কর্মসূচি নিয়ে সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে মাঠে নামবে।
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকারকে বিদায় করতে আমরা ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের কথা বলছি। কিন্তু দলে দলে মতপার্থক্য রয়েছে। এই কারণে বক্তৃতা যতই করি, একমঞ্চ হবে না। তাই সরকারকে বিদায় করতে হলে বর্তমান বাস্তবতায় অভিন্ন কর্মসূচিতে যুগপদ আন্দোলন করতে হবে। সেক্ষেত্রে এরশাদবিরোধী আন্দোলনের মতো ৪/৫টি মঞ্চ হতে পারে। এ রকম জায়গায় যদি আসতে পারি, আমরা একসাথে এগিয়ে যেতে পারব, আন্দোলনও সফল হবে।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বিএনপি একটি নির্বাচনমুখী দল। যে কোনো পরিস্থিতিতে নির্বাচনে যাওয়ার মতো প্রস্তুতি আমাদের রয়েছে। তবে আমরা চাই সেই নির্বাচনটা হবে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে। এই মুহূর্তে আমাদের একমাত্র চাওয়া হচ্ছে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার। শুধু বিএনপি নয়, দেশের প্রতিটি মানুষের চাওয়াও তাই। সে লক্ষ্যে আমরা বৃহত্তর ঐক্যের উদ্যোগ নিয়েছি। সরকার স্বেচ্ছায় পদত্যাগ না করলে রাজপথের আন্দোলনের মধ্য দিয়েই নিরপেক্ষ সরকারের দাবি প্রতিষ্ঠা করা হবে।
অতি অল্প সময়ের মধ্যে দেশে শক্তিশালী বিরোধী দল দেখা যাবে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এই সরকারকে বিদায় জানাতে জনগণ প্রস্তুত। তারা এখন রাজপথে নামার অপেক্ষা করছে। শিগগিরই বিএনপির নেতৃত্বে রাজপথে আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারকে হটানো হবে। এর কোন বিকল্প নেই। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের শোষণ-লুন্ঠন দেশে দুঃসহ অবস্থার সৃষ্টি করেছে এবং সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে গেছে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আজকে মুক্তির একটাই মাত্র পথ সামনে খোলা আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে সরাতে হবে।
এদিকে সরকারবিরোধী শক্তি বাড়াতে বৃহত্তর ঐক্য গঠন করতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের নেতৃত্বে দুটি কমিটি করা হয়েছে। এখানে স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুসহ বেশ কয়েকজন নেতা আছেন। কমিটি বাম ও ইসলামী দলসহ অন্য সমমনা বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক করেছেন। অন্যটি ২০ দলীয় জোটের শরিক ও ঐক্যফ্রন্টের সাথে। চলতি বছরের শুরু থেকেই এসব নেতা ধারাবাহিক বৈঠক করেছেন। এসব বৈঠক ফলপ্রসু হয়েছে বলেও জানান দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা।
বিএনপি সূত্রে জানা যায়, নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার ইস্যুতে বাম রাজনৈতিক দলগুলো, ২০ দলীয় জোটের মধ্যে থাকা দল এবং ঐক্যফ্রন্টের দলগুলোও বিএনপির সাথে আন্দোলনে ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করেছেন। তবে এ ক্ষেত্রে জামায়াতকে প্রতিবন্ধক মনে করছেন কেউ কেউ। বিএনপি এ প্রতিবন্ধকতা টপকানোর কৌশল খুঁজছে।
জানা গেছে, নির্বাচনকালীন নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের দাবিতে আন্দোলনের পাশাপাশি ক্ষমতায় গেলে কীভাবে সরকার গঠনসহ রাষ্ট্র পরিচালনা করা হবে- এ নিয়ে দলের অবস্থানের বিষয়ে বেশ কিছু অঙ্গীকারের কথা বিএনপির পক্ষ থেকে তুলে ধরা হয়। এখন এক দফা দাবির পক্ষে একটি রূপরেখা দিয়ে অভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। কর্মসূচিতে যেসব রাজনৈতিক দল একমত পোষণ করে রাজপথে যুগপৎ আন্দোলনে থাকবে, তাদের নিয়েই বৃহত্তর ঐক্য বা জোট গঠন করা হবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আমাদের সবার মূল লক্ষ্য হচ্ছে অবাধ সুষ্ঠু গ্রহনযোগ্য নিরপেক্ষ নির্বাচন। বর্তমানে যারা ক্ষমতায় আছেন তারা ভোটের রাজ্যে বারবার প্রমাণ করেছে জনগণ তথা ভোটাদের সাথে তারা (আওয়ামী লীগ) প্রতরণা করেছে। এক কথায় তারা প্রতারক।
সরকার বিরোধী সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, জনগণের বিপক্ষে যারা আছে তাদের নামাতে হবে। তারপর জনগণ সিদ্ধান্ত নিবে কাকে ভোট দিবে, কাকে ভোট দিবে না। কাকে সরকারে আনবে, কাকে আনবে না। এর বাইরে আর কোনো শব্দ নেই। তিনি দলের নেতাকর্মীর সজাগ ও সচেতন থাকার আহ্বান জানান। গয়েশ্বর বলেন, যে কোন মুহূর্তে ডাক আসবে। সাথে সাথে রাজপথে নেমে পড়তে হবে।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, বিএনপি আন্দোলন জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। যেহেতু বিএনপি নির্দলীয় সরকারের অধীনে ছাড়া কোন নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করবে না এবং সরকার এই দাবি সহসাই মেনে নেবে বলে মনে হচ্ছে না। তাই শিগগিরই কঠোর আন্দোলনে নামবে বিএনপি। যার মাধ্যমে এই সরকারের বিদায় হবে, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া মুক্ত হবেন, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে ফিরে আসবেন এবং একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ তাদের প্রতিনিধি নির্বাচিত করবেন।
আন্দোলনের জন্য তারেক রহমান প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন জানিয়ে রিজভী বলেন, আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সুস্পষ্টভাবে বলে দিয়েছেন সরকারের সাথে ফয়সালা হবে রাজপথে। তিনি সকলকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। খুব শিগগিরই তিনি ডাক দিবেন। এই ডাকে যেসব নেতা মাঠে নামবেন তারাই আগামী দিনে মূল্যায়িত হবেন। ##