ভারতের মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরের স্বর্ণবাগ কলোনিতে শনিবার ভোররাতে একটি ভবনে অগ্নিকাণ্ডে সাতজন নিহত হয়েছেন। রবিবার মধ্যপ্রদেশ পুলিশের বরাত দিয়ে ভোপাল থেকে হিন্দুস্তান টাইমস এ তথ্য জানিয়েছে।
ইন্দোরের পুলিশ কমিশনার এইচ এন মিশ্র বলেছেন, ‘শনিবার ভোররাতে স্বর্ণবাগ কলোনির একটি ভবনে আগুন লাগে। এতে কয়েকজন জীবন্ত পুড়ে এবং কয়েকজন শ্বাসরোধে মারা যান। এটি একটি জনবহুল ভবন ছিল।’
নিহতরা হলেন-ঈশ্বর সিং সিসোদিয়া (৪৫), নীতু সিসোদিয়া (৪৫), আশিস (৩০), গৌরব (৩৮) ও আকাঙ্ক্ষা (২৫)। এছাড়া নিহতদের মধ্যে ৪০ থেকে ৪৫ বছর বয়সী দুজনের পরিচয় এখনো পাওয়া যায়নি।
পুলিশ জানায়, শুভম দীক্ষিত ওরফে সঞ্জয় নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে ভবনটিতে আগুন লাগানোর অভিযোগ উঠেছে। ২৮ বছর বয়সী শুভমের ওই ভবনের এক নারীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে জানা যায়। ওই নারী তার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে অন্যজনকে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন। তারপরও তাকে ফিরে পেতে চেয়েছিল শুভম।
হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, শনিবার গভীর রাতে লোহামান্ডি থেকে শুভমকে গ্রেপ্তার করা হয়। পালানোর চেষ্টা করলে তিনি পা ও হাতে আঘাত পান।
বিজয় নগর থানার ইনচার্জ তেহজিব কাজী বলেন, পুলিশ তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে এবং পরে তাকে গ্রেপ্তার করে। রবিবার তাকে আদালতে হাজির করার কথা রয়েছে।
এই পুলিশ কর্মকর্তা জানান, ঝাঁসির বাসিন্দা শুভম স্বর্ণবাগ কলোনির ওই ভবনে মায়ের সঙ্গে থাকা এক নারীকে নিয়ে বিপর্যস্ত ছিলেন। ওই নারী অন্যজনকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।
তিনি পুলিশকে জানান, তারা একটি সম্পর্কে ছিল। এমনকি তাকে ১০ হাজার টাকা ধার দিয়েছেন। কিন্তু সম্প্রতি তিনি অন্য কারো সঙ্গে বাগদান করেছেন।
তেহজিব কাজী বলেন, ‘শুক্রবার গভীর রাতে তিনি ওই নারীকে টাকার জন্য ডাকেন। (ভবনের কাছে) আলাপ দ্রুতই একটি তিক্ত বাগ বিতণ্ডায় পরিণত হয়। তিনি তাকে হুমকি দেন। পরে তিনি ভবনের পার্কিং এলাকায় এসে একটি বাইক থেকে পেট্রোল বের করে ওই নারীর স্কুটিতে ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন।’
তদন্তের সময় কমপক্ষে ১০০ সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ পরীক্ষা করেছে পুলিশ। একটি ভিডিও ক্লিপে পুলিশ ওই ব্যক্তিকে ভবনে ঢুকতে দেখেছে এবং পরে স্কুটিতে আগুন লাগিয়ে ভবন থেকে বেরিয়ে আসতে দেখেছে।
শনিবার দড়ি দিয়ে নিরাপদে ভবন থেকে বেরিয়ে আসেন ওই নারী ও তার মা। পুলিশ জানিয়েছে, তারা ওই নারীর জবানবন্দি নথিভুক্ত করবেন।