নিজস্ব প্রতিবেদক
বগুড়ার শেরপুরে বজ্রপাতে আব্দুল মালেক (৪৫) নামের এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (১৩ মে) দুপুরে শাহবন্দেগী ইউনিয়নের উচরং মধ্যপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এ সময় ফেরদৌস আলম (৪৫) নামের আরও এক শ্রমিক গুরুতর আহত হয়েছেন। নিহত আব্দুল মালেক উচরং গ্রামের আব্দুল লতিফের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, আব্দুল মালেক পেশায় একজন ভ্যান চালক। এখন ধান কাটার মৌসুমে শ্রমিকের দাম বেশি হওয়ায় তিনি ধান কাটার শ্রমিকের কাজ করতেন।
শুক্রবার তিনি জমিতে ধান কাটছিলেন দুপুর ১টার সময় বৃষ্টির সঙ্গে হঠাৎ বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয় এবং তার সহকর্মী ফেরদৌস আলম গুরুতর আহত হন।
শাহ বন্দেগি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, স্থানীয়রা মরদেহ উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে গেছে এবং আহত ফেরদৌসকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে জয়পুরহাটের কালাইয়ে বজ্রপাতে হৃদয় হোসেন (১২) নামে এক কিশোর নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় তার দাদা গুরুতর আহত হয়েছেন।
শুক্রবার (১৩ মে) সকাল ১১টার দিকে উপজেলার শ্রীপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত হৃদয় শ্রীপুর গ্রামের রুবেল হোসেন এর ছেলে।
কালাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি এস এম মঈনুদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ওসি বলেন, আজ শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে বৃষ্টি শুরু হলে নাতি হৃদয়কে সঙ্গে নিয়ে দাদা মনসুর আলী নিজ এলাকার একটি পুকুরে মাছ ধরতে যান।
এ সময় বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই নাতি হৃদয় মারা যায়। দাদা আহত হন।
এর আগে জানা যায়— নওগাঁর পোরশায় পৃথক স্থানে বজ্রপাতে দুই কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (১৩ মে) সকাল ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, স্থানীয় পশ্চিম দুয়ারপাল ইসলামপুর গ্রামের বাসিন্দা আব্দুস সামাদ (৩৫) ও রঘুনাথপুর গ্রামের বাসিন্দা আব্দুর নূহ (৫৫)।
স্থানীয়রা জানায়, সকাল থেকে আব্দুস সামাদ ও আব্দুর নূহ ভারতীয় সীমান্ত এলাকায় পুনর্ভবা নদীর পাড়ে জমিতে ধান কাটছিলেন। এসময় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি মধ্যে বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান তারা। পরে মাঠের অন্যান্য কৃষক ও শ্রমিকরা লাশ উদ্ধার করে।
পোরশা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) হামিদ রেজা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের সরকারি সহযোগিতা দেওয়া হয়। সেই ধারাবাহিকতায় নিহতদের পরিবারকে আর্থিক সহযোগিতা