কুসিক নির্বাচনে মেয়র প্রার্থীদের যত সম্পদ

কুসিক নির্বাচনে মেয়র প্রার্থীদের যত সম্পদ

আসন্ন কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচনে মেয়র পদে ছয়জন প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। ছয়প্রার্থীর মধ্যে সবচেয়ে বেশি সম্পদের মালিক সদ্য বিদায়ী মেয়র ও বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা মো. মনিরুল হক সাক্কু।

বৃহস্পতিবার (১৯ মে) মনোনয়ন বৈধ ঘোষণার পর প্রার্থীদের দাখিলকৃত হলফনামা থেকে এসব তথ্য জানা যায়।

মেয়র প্রার্থীদের মধ্যে মনিরুল হক সাক্কুর সম্পদ সবচেয়ে বেশি। জানা যায়, বাড়িভাড়া থেকে সাক্কুর বার্ষিক আয় ৪ লাখ ৮ হাজার টাকা। শেয়ার, সঞ্চয়পত্র বা ব্যাংক আমানত থেকে বার্ষিক আয় ৩ লাখ ১ হাজার ৬৯৭ টাকা। দ্বিতীয় মেয়াদে মেয়র হিসেবে বার্ষিক সম্মানী ভাতা পেয়েছেন ১৬ লাখ ২০ হাজার টাকা। সাক্কুর অস্থাবর সম্পত্তির মধ্যে নগদ টাকা রয়েছে ১ কোটি ৩৭ লাখ ৫৯ হাজার ৮৯২ টাকা। তার স্ত্রী আফরোজা জেসমিন টিকলীর নামে নগদ টাকা আছে ৯৯ লাখ ১৩ হাজার ৮২১ টাকা।

আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আরফানুল হক রিফাতের কৃষি খাত থেকে বার্ষিক আয় ১০ হাজার টাকা, বাড়ি ও দোকানভাড়া থেকে ৫ লাখ টাকা এবং ব্যবসা থেকে আয় ১৭ লাখ ১১ হাজার ৮০০ টাকা। অস্থাবর সম্পদের মধ্যে ব্যাংকে জমা আছে ৬ লাখ ১২ হাজার ৪৯৫ টাকা ও সঞ্চয় আছে ৭৮ লাখ ৬৭ হাজার ৪৫৪ টাকা। দুটি গাড়ি ও স্বর্ণ আছে ২০ ভরি। স্থাবর সম্পদের মধ্যে কুমিল্লার সালমানপুরে ১৭ শতক, ঢাকায় এবং কুমিল্লায় মোট দুটি ফ্ল্যাট আছে। দুটি ফ্ল্যাটের দাম ৭০ লাখ টাকা।

আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী মেয়র প্রার্থী মাসুদ পারভেজ খান ইমরানের কৃষি খাত থেকে বার্ষিক আয় ২০ হাজার টাকা, ব্যবসা থেকে ১৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা, অস্থাবর সম্পদের মধ্যে নগদ টাকা আছে ২ লাখ ৪২ হাজার ৭৪২ টাকা, ব্যাংকে জমা ৩ লাখ ১৭ হাজার ২৫৮ টাকা, গাড়ি একটি। স্থাবর সম্পদের মধ্যে শাতকলা মৌজায় ৭৭ দশমিক ৬৬ শতক জমি ও লালমাই পাহাড়ে ১ দশমিক ১২ একর বাগান আছে।

স্বেচ্ছাসেবক দল থেকে বহিষ্কৃত অপর স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন কায়সারের চাকরি থেকে আয় ৮ লাখ ৪০ হাজার টাকা, অস্থাবর সম্পদের মধ্যে নগদ টাকা ৩৮ লাখ ৭২ হাজার ৯৩৫ টাকা, ব্যাংকে জমা ৩ লাখ ২ হাজার ৪৯৭ টাকা।

অপর মেয়র প্রার্থী কামরুল আহসান বাবুলের ব্যবসা থেকে বার্ষিক আয় ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা, অস্থাবর সম্পদের মধ্যে নগদ টাকা ৩ লাখ ২০ হাজার টাকা, ব্যাংকে জমা ৫ হাজার টাকা, স্থাবর সম্পদের মধ্যে ৩ লাখ ৪০ হাজার টাকার অকৃষি জমি আছে।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মেয়র প্রার্থী মো. রাশেদুল ইসলামের শিক্ষকতা থেকে বার্ষিক আয় ৩ লাখ ১৮ হাজার টাকা, অস্থাবর সম্পদের মধ্যে নগদ টাকা ৫০ হাজার, ব্যাংকে জমা ২ লাখ ৪২৮ টাকা ও স্থাবর সম্পদের মধ্যে ৮ দশমিক ২৫ শতক অকৃষি জমি ও একটি বাড়ি আছে।

এদিকে ৬ মেয়র প্রার্থীদের মধ্যে বিএনপির আরেক বহিষ্কৃত নেতা নিজাম উদ্দিন কায়সারের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি মামলা রয়েছে। তার বিরুদ্ধে ৮টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে বলে হলফনামায় উল্লেখ করা হয়েছে।

জানা যায়, আওয়ামী লীগ প্রার্থী আরফানুল হক রিফাত এবং ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের প্রার্থী রাশেদুল ইসলামের বিরুদ্ধে বর্তমানে কোনো মামলা নেই। বাকি মেয়র প্রার্থীদের মধ্যে মনিরুল হক সাক্কুর বিরুদ্ধে ২টি, মাসুদ পারভেজ খান ইমরানের বিরুদ্ধে ২টি ও কামরুল আহসান বাবুলের বিরুদ্ধে ২টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে।

উল্লেখ্য, আগামী ১৫ জুন কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ২৬ মে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন। এরপর ২৭ মে প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে।

সারাদেশ