বাজার করতে গিয়ে বাজেটের সঙ্গে তাল মেলাতে না পেরে ক্রেতারা হতাশ। মূল্যবৃদ্ধির চাপে অসহায় সাধারণ মানুষ।
রবিবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরলে ক্রেতারা এমন হতাশার কথা জানান।
ক্রেতারা বলছেন, বাসা থেকে চাহিদা অনুযায়ী ফর্দ করে বাজারে আসেন। কিন্তু নিত্যপণ্যের মূল্য বেড়ে যাওয়ায় তালিকার অর্ধেক পণ্যই কিনতে পারছেন না।
নিউমার্কেট এলাকায় কথা হয় তৈরি পোশাক ব্যবসায়ী রাকিব হোসেনের সঙ্গে। তিনি বলেন, সওদার যে ফর্দ আর টাকা নিয়ে বাজারে এসেছেন, তাতে অর্ধেক পণ্যও কিনতে পারেননি। সবকিছুর দাম আকাশছোঁয়া। বাজারে এখন আর কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। যে যেভাবে পারছেন, দাম বাড়িয়ে বসে আছেন।
তেজগাঁও এলাকার একজন মুদি ব্যবসায়ী নিজের অসহায়ত্ব প্রকাশ করে বলেন, ‘সব জিনিসপত্রের দাম এমনভাবে বেড়েছে যে আমাদেরও ক্রেতাদের মুখের দিকে তাকাতে খারাপ লাগে। কিন্তু কিছু করার নেই। আমরা যেভাবে পাইকারি মোকামে কিনি, সেভাবে বিক্রি করতে হয়।’
মধ্যবিত্তদের মতো নিম্নবিত্তরাও আছেন মহাসংকটে। তাঁদের টানাটানির সংসারে এখন আরও টান পড়েছে। এখন অর্থ সাশ্রয় করতে গিয়ে খাবারে টান পড়েছে। মগবাজারে কথা হয় রিকশাচালক আলমের সঙ্গে। তিনি বললেন, ‘এহন আর আয় দিয়া কুলাইতে পারি না। বাজারে গ্যালে দাম হুইন্না কইলজাডা মোচড় মারে। প্যাডে খিদা লইয়্যা এহন রিকশা চালাই। আগে বাইরে চা-নাশতা খাইতাম। এহন খাই না।’
রামপুরা এলাকার ব্যবসায়ী জামিল বলেন, ‘কয়েক মাস ধরেই সব পণ্যের মূল্য দফায় দফায় বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরা পাইকারি মোকাম থেকে যেভাবে কিনি, সেইভাবে আমাদের বিক্রি করতে হয়।’
ব্যবসায়ীরা জানান, আন্তর্জাতিক বাজারে সবকিছুর মূল্যবৃদ্ধি পাওয়ায় এর প্রভাব পড়ছে স্থানীয় সব বাজারে। সব জিনিসপত্রের মূল্যবৃদ্ধি পাওয়ায় এর প্রভাব পড়ছে সব ক্ষেত্রে। খাবার হোটেলগুলোতে সব খাবারের মূল্যবৃদ্ধি পেয়েছে দ্বিগুণ।
হোটেলমালিকেরা বলছেন, বাজারে সবকিছুর মূল্যবৃদ্ধির কারণে তাঁদেরও দাম বাড়াতে হয়েছে।