তামিম ইকবাল নিজের লড়াইটা নিজেই কঠিন করে তুলেছেন। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে শূন্য করেন তামিম ইকবাল। যার ফলে তার রানের খাতায় বাড়তি কিছু যোগ হয়নি। বরং মুশফিকুর রহিম প্রথম দিন ১১৫ রান করে অপরাজিত ছিলেন। দ্বিতীয় দিনে তার সঙ্গী লিটন আউট হলেও ১৫৬ রান নিয়ে এখনও ক্রিজে আছেন মুশফিক। এদিকে, দেড়শ’ রান সংগ্রহের পর ক্যারিয়ারে পঞ্চমবারের মতো এই কীর্তি অর্জন করলেন মুশফিক। তামিমের রেকর্ড ভাঙার থেকে আর মাত্র ১৩ রান দূরে তিনি। এই ১৩ রান সংগ্রহ করতে পারলেই নতুন রেকর্ড গড়বেন মুশফিক।
ঘরের মাঠে বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের মধ্যে সর্বোচ্চ রান এখন তামিমের। তার সংগ্রহ মোট ৭০৬৩ রান। সেখানে মুশফিকুর করে ফেলেছেন ৭০৫১ রান। আর ১২ রান করলে তিনি তামিমকে স্পর্শ করে ফেলবেন। আর ১৩ করলে তামিমকে ছাপিয়ে যাবেন। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসেই যদি ২০০ টপকে যেতে পারেন মুশফিকুর, তবে মঙ্গলবারই নতুন নজির তিনি গড়ে ফেলবেন।
তার কারণ মুশফিকুর ১৫৬ রান করে এখনও ক্রিজে আছেন। প্রসঙ্গত, মুশফিকুর সোমবারই লঙ্কানদের বিরুদ্ধে শতরান করে ৭ হাজার আন্তর্জাতিক রান পূরণ করেন।
এই তালিকায় তিনে রয়েছেন সাকিব আল হাসান। তার সংগ্রহ ৬৪৮৭ রান। মাহমুদুল্লাহ চারে থাকলেও তিনি তাদের থেকে অনেকটা পিছিয়ে। তার সংগ্রহ ৪৬৯২ রান।
এদিন শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েই ভীষণ বিপদে পড়ে বাংলাদেশ। ২৪ রানেই হারিয়ে ফেলে পাঁচ উইকেট। দলের দুই তারকা তামিম ইকবাল ও সাকিব আল হাসান, দু’জনেই খাতা খোলার আগে সাজঘরে ফেরেন। তবে এখান থেকেই ইনিংস মেরামতির কাজ শুরু করেন মুশফিকুর ও লিটন দাস। গত ম্যাচে শতরান ফস্কালেও এই ম্যাচে প্রথমে শতরান পূর্ণ করেন লিটন দাস। তার পর নাগাড়ে দ্বিতীয় ম্যাচে শতরানটি সেরে ফেলেন মুশফিকুরও। এই দুই ব্যাটারের কাঁধে চেপেই ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ।
সোমবার দিন শেষে মুশফিকুরের ১১৫ রানের পাশাপাশি লিটনের সংগ্রহ ১৩৫ রান। দুই ব্যাটারই অপরাজিত ছিলেন। ষষ্ঠ উইকেটে প্রথম দিনের শেষে তাদের পার্টনারশিপ ২৫৩ রানের। এই পার্টনারশিপেই তৈরি হল ইতিহাস। টেস্টের ইতিহাসে কোনও দল এত কম রানে ৫ উইকেট হারানোর পর আর সেই ইনিংসে দ্বিশতরানের পার্টনারশিপ গড়তে পারেনি। প্রথম দিনের শেষে বাংলাদেশের স্কোর ৫ উইকেটে ২৭৭ রান। তবে মঙ্গলবার খেলতে নেমে কিছুক্ষণ পরেই আউট হয়ে যান লিটন।