করোনায় সংসদ অধিবেশন সংক্ষিপ্ত ও বিদেশ সফর না থাকায় সাশ্রয় ৮০ কোটি টাকা

করোনায় সংসদ অধিবেশন সংক্ষিপ্ত ও বিদেশ সফর না থাকায় সাশ্রয় ৮০ কোটি টাকা

করোনার মহামারির কারণে কয়েকটি অধিবেশন সংক্ষিপ্ত হওয়ায় এবং এ সময়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিদেশ সফর ও প্রশিক্ষণ না হওয়ায় চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরে সংসদ সচিবালয়ের বরাদ্দ থেকে প্রায় ৮০ কোটি টাকা সাশ্রয় হয়েছে। গতকাল বুধবার সংসদ সচিবালয় কমিশনের ৩৩তম সভায় চলতি অর্থবছরের ৩৩৬ কোটি ১৪ লাখ টাকার প্রাক্কলিত বাজেট কমিয়ে ৩১৬ কোটি ১ লাখ টাকার সংশোধিত বাজেট অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত কমিশনের এ সভায় আসন্ন ২০২২-২৩ অর্থবছরে সংসদ সচিবালয়ের জন্য ৩৪১ কোটি ৮৯ লাখ টাকা বরাদ্দ অনুমোদন দেওয়া হয়। যা সংসদ সচিবালয়ের চলতি অর্থবছরের মূল বাজেটের তুলনায় ১ দশমিক ৭২ শতাংশ বেশি। সংসদ সচিবালয় কমিশনের চেয়ারম্যান ও স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিশনের সদস্য প্রধানমন্ত্রী ও সংসদনেতা শেখ হাসিনা, অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, বিরোধীদলীয় নেতার পক্ষে ব্যাস্টিার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ অংশ নেন। বিশেষ আমন্ত্রণে জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী বেঠকে যোগ দেন।

বৈঠক শেষে জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, চলতি অর্থবছরে যে বাজেট ছিল আমরা তা থেকে খরচ কম করেছি। মে মাস পর্যন্ত ১৮৯ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। কর্মকর্তারা যে হিসাব দিয়েছেন তাতে অর্থবছর শেষে আমরা ৮০ কোটি টাকার মতো ফেরত দিতে পারব। খরচ কম হওয়ার কারণ সম্পর্কে স্পিকার জানান, করোনার কারণে অধিবেশনের কর্মদিবস কম ছিল, বিদেশ ভ্রমণ ও প্রশিক্ষণ কম হয়েছে।

সংসদ সচিবালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বৈঠকে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের আগামী ২০২২-২৩ অর্থবছরে পরিচালন ও উন্নয়ন খাতে ৩৪১ কোটি ৮৯ লাখ টাকার প্রস্তাবিত বাজেট প্রাক্কলন অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে উন্নয়ন বরাদ্দের পরিমাণ ৮০ লাখ টাকা। এছাড়া ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৩৬৫ কোটি ৮২ লাখ টাকা এবং ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ৩৯১ কোটি ৪৩ লাখ টাকার বাজেট প্রক্ষেপণও গতকালের বৈঠকে অনুমোদন করা হয়। কমিশনের এ বৈঠকে সংসদ সচিবালয়ে পাঁচটি যুগ্মসচিবের পদ বাড়ানো হয়েছে। বর্তমানে সংসদ সচিবালয়ে সাতটি অনুবিভাগ রয়েছে। যেখানে যুগ্মসচিব আছেন দুই জন। সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিভিন্ন ভাতার পরিমাণও বৈঠকে বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়। অধিবেশন চলার সময় আগে অতিরিক্ত খাটুনি ভাতা ছিল ৫০০ টাকা, যা এবার ৬০০ টাকা করা হয়েছে। অধিবেশন না থাকার সময় ভাতা ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা করা হয়েছে। এছাড়া দুপুরের খাবার ভাতা (অধিবেশনকালীন) ২০০ টাকার স্থলে ৩০০ টাকা করা হয়েছে।

বৈঠকের শুরুতে বিগত ৩২তম সংসদ সচিবালয় কমিশন বৈঠকের কার্যবিবরণী নিশ্চিত করার পাশাপাশি গৃহীত সিদ্ধান্তসমূহের বাস্তবায়ন ও অগ্রগতি প্রতিবেদনের ওপর আলোচনা হয়। বৈঠকে আলোচ্যসূচি উপস্থাপন করেন সংসদ সচিবালয়ের সচিব কে এম আব্দুস সালাম।

জাতীয়