নিজস্ব প্রতিবেদক
আগামী ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে ট্যাক্স পরিশোধ করে বিদেশে পাচার করা টাকা বৈধ পথে দেশে আনার বিশেষ সুবিধা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
বৃহস্পতিবার (২৬ মে) দুপুরে ভার্চুয়ালি অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
অর্থমন্ত্রী বলেন, দেশ থেকে প্রতি বছর বিপুল পরিমাণ টাকা চলে যাচ্ছে, কিন্তু তা ফেরত আনতে পারছি না। যারা টাকা দেশ থেকে নিয়ে গিয়ে বিদেশে রেখেছে, তারা যেন ওই টাকা দেশে ফেরত আনতে পারে, সে জন্য আগামী বাজেটে বিশেষ সুবিধা দেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, এ ধরনের সুবিধা বিশ্বের অনেক দেশ দিয়েছে। ফলে পাচার করা টাকা ফেরত এসেছে। ইন্দোনেশিয়াসহ আশপাশের দেশগুলো এই সুবিধা দেওয়ায় তারা ভালো ফল পেয়েছে। আসন্ন বাজেটে এ বিষয়ে আমরাও চিন্তাভাবনা করছি।
সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে সাতটি প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়নে মোট ব্যয় হবে এক হাজার ৮৫৪ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ১ হাজার ৬৮০ কোটি টাকা এবং দেশীয় ব্যাংক থেকে ঋণ হিসেবে পাওয়া যাবে ১৭৪ কোটি ৬২ লাখ টাকা।
অর্থমন্ত্রী বলেন, আজ অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদনের জন্য (টেবিলে ১টি প্রস্তাবসহ) ২টি এবং ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদনের জন্য ৭টি প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়। ক্রয় কমিটির সাতটি প্রস্তাবই অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ক্রয় কমিটির প্রস্তাবনাগুলোর মধ্যে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের ২টি, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের ১টি, শিল্প মন্ত্রণালয়ের ১টি, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ১টি, স্থানীয় সরকার বিভাগের ১টি এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ১টি প্রস্তাবনা ছিল।