দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈনকে অর্থ পাচারের অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছে ভারতের এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)।
সোমবার (৩০ মে) সন্ধ্যায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তদন্ত সংস্থার অভিযোগ, ২০১৫-১৬ সালে অরবিন্দ কেজরিওয়াল সরকারের এই মন্ত্রী কলকাতার একটি সংস্থার সঙ্গে হাওয়ালা লেনদেনের জড়িত ছিলেন।
২০১৭ সালের আগস্টে সত্যেন্দ্র জৈন এবং তার পরিবারের বিরুদ্ধে ১ কোটি ৩২ লাখ রুপি পাচারের অভিযোগে মামলা দায়ের করে দেশটির সেন্ট্রাল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (সিবিআই)।
সিবিআইয়ের অভিযোগ, সত্যেন্দ্র জৈন এবং তার পরিবার চারটি শেল ফার্মের নামে ২০১১-১২ সালে ১১ কোটি ৭৮ লাখ এবং ২০১৫-১৬ সালে ৪ কোটি ৬৩ লাখ রুপি পাচার করে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তাদের ব্যবসা করার এমন কোনো কোম্পানি নেই। সিবিআইয়ের এফআইআর-এর ভিত্তিতে মানিলন্ডারিং অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।
দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়া টুইটার পোস্টে লেখেন, আট বছর ধরে সত্যেন্দ্র জৈনের বিরুদ্ধে ভুয়া মামলা চলছে। এখন পর্যন্ত ইডি (এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট) বহুবার এ মামলায় ডেকেছে। এর মধ্যে, ইডি অনেক বছর ধরে কিছু না পাওয়ায় ডাকা বন্ধ করে দেয়। এখন তারা আবার শুরু করেছে কারণ সত্যেন্দ্র জৈন হিমাচলে আসন্ন নির্বাচনে আম আদমি পার্টির (এএপি) ইনচার্জ হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন।
তিনি বলেন, হিমাচল রাজ্যে বিজেপি হেরে যাচ্ছে। আজ সত্যেন্দ্র জৈনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যেন তিনি হিমাচল যেতে না পারেন। মামলাটি সম্পূর্ণ ভুয়া হওয়ায় কয়েকদিনের মধ্যে তাকে (সত্যেন্দ্র জৈন) ছেড়ে দেওয়া হবে।
আম আদমি পার্টির নেতা সত্যেন্দ্র জৈন এবং তার পরিবারের মালিকানাধীন ৪ কোটি ৮১ লাখ রুপির সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার প্রায় দুই মাস পরে তাকে গ্রেপ্তার করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)।
সূত্র : এনডিটিভি