তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি
জীবিত স্বামীকে মৃত দেখিয়ে বিধবা ভাতা উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার দেশীগ্রাম ইউনিয়নের একাধিক নারীর বিরুদ্ধে।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য ও সমাজসেবা অফিসের ইউনিয়ন সমাজকর্মীদের সহায়তায় দীর্ঘদিন ধরেই তারা ভাতা উত্তোলন করে আসছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
জানা যায়, উপজেলার দেশীগ্রাম ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের শিলংদহ গ্রামের আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী ধলী খাতুন, আব্দুস ছালামের স্ত্রী নাসিমা খাতুন, আব্দুল মজিদের স্ত্রী ফরিদা খাতুনসহ ওই ইউনিয়নের ১০ জন নারী দীর্ঘদিন ধরে বিধবা ভাতা উত্তোলন করে আসছেন। অথচ এ সকল নারীর স্বামী এখনও জীবিত।
দেশীগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের ৪নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুর রাজ্জাক জানান, শিলংদহ গ্রামের ওই নারীদের স্বামীরা জীবিত। তারা কৃষিকাজ করেন। কীভাবে সম্ভব জীবিত স্বামীকে মৃত দেখিয়ে বিধবা ভাতা নেওয়া যায়।
স্থানীয়দের অভিযোগ ইউনিয়ন সমাজকর্মীদের সঙ্গে যোগসাজশ করে ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যরা এসব বই তৈরি করেন। এছাড়া অর্থের বিনিময়ে এসব অবৈধভাবে ভাতাকার্ড তৈরি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে।
দেশীগ্রাম ইউনিয়ন সমাজকর্মী শিখা রানী জানান, দেশীগ্রাম ইউনিয়নের ১০টির মতো বিধবা ভাতার কার্ড রয়েছে। তাদের স্বামী জীবিত থাকার সত্ত্বেও মৃত দেখিয়ে বিধবা ভাতা নিচ্ছেন। আর এই বইগুলো দেওয়ার সময়ে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস কুদ্দুস নিজে জোরপূর্বক নিয়ে যায়।
তাড়াশ উপজেলা সমাজসেবা অফিসার কে. এম মনিরুজ্জামান বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যরা আমাদের অফিসে যেসব তথ্য দেন, আমরা সেটার ভিত্তিতে কাজ করি। তবে এখন থেকে অনলাইন হচ্ছে। এমনিতেই সব বাতিল হয়ে যাবে। যেগুলো আমাদের নজরে আসছে, সে বইগুলো বাতিল করা হচ্ছে।
তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মেজবাউল করিম বলেন, মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিধবা ভাতা ও মাতৃত্বকালীন ভাতা নেওয়া গুরুতর অপরাধ। যারা অবৈধভাবে ভাতা নিচ্ছেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।