বিদেশে পাচার হয়ে যাওয়া অর্থ নামমাত্র রাজস্ব দিয়ে দেশে ফিরিয়ে আনার সুযোগে বিস্মিত বিশেষজ্ঞরা। এতে অর্থ পাচারের পরিমাণ আরো বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা তাদের। পাচারকারীদের সাধারণ ক্ষমা নয়, এ ধরনের অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার পরামর্শ দেন তারা।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বৈশ্বিক বাণিজ্যে ক্রমবর্ধমান অনিশ্চয়তার মধ্যে বৈদেশিক মুদ্রা সংকটের কারণে পাচারকৃত অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনার অর্থমন্ত্রীর প্রস্তাবের কোনো যুক্তি খুঁজে পান না অর্থনীতিবিদরা। তাদের মতে, সরকারের এ পদক্ষেপে অসৎ ব্যক্তিরা আরো বেশি করে অর্থ পাচারের দিকে ঝুঁকে পড়বেন। কারণ সৎ করদাতাদের সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ কর দিতে হয়। আর অনুৎপাদনশীল খাতে বিনিয়োগের জন্য ৭ শতাংশ দিয়ে কর দিয়ে বিদেশ থেকে অর্থ দেশে ফেরত আনতে পারে। তাই অসৎ লোকেরা এখন তাদের অপ্রদর্শিত অর্থ আনঅফিসিয়াল চ্যানেলের মাধ্যমে বিদেশে পাঠাতে পারে। তাছাড়া এ ধরনের অর্থ বা সম্পদের উৎস সম্পর্কে জবাবদিহি না থাকা সৎ করদাতাদের জন্য অত্যন্ত অনৈতিক ও অন্যায়।
জাতীয় সংসদে গত বৃহস্পতিবার অর্থমন্ত্রী ২০২২-২৩ অর্থবছরের পৌনে ৭ লাখ কোটি টাকার যে বাজেট প্রস্তাব করেছেন, তাতে বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনতে আয়কর অধ্যাদেশে নতুন বিধান যুক্ত করার প্রস্তাব করেছেন। তাতে বিদেশে অবস্থিত কোনো সম্পদের ওপর কর পরিশোধ করা হলে আয়কর কর্তৃপক্ষসহ সরকারের কেউ এ বিষয়ে কোনো প্রশ্ন তুলবে না।বিস্তারিত