চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনের পর থেকে একে অন্যের সঙ্গে কথা বলতেন ওমর সানী-জায়েদ খান। কিন্তু হঠাৎ করেই তারা ‘সোনার চর’ নামের একটি ছবিতে একসঙ্গে কাজ শুরু করেন। এতে তাদের সহশিল্পী ছিল অভিনেত্রী মৌসুমী। সেই মৌসুমীকে নিয়েই এবার দ্বন্দ্বে জড়ালেন সানী-জায়েদ। অভিনেতা ডিপজলের বড় ছেলে সৌমিকের বিবাহোত্তর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা ঘটে। অনুষ্ঠানে ওমর সানী চড় দিয়েছেন জায়েদকে আর জায়েদ পিস্তল দিয়ে গুলি করার হুমকি দিয়েছেন সানীকে। যদিও জায়েদ খান এ ঘটনাকে মিথ্যা দাবি করেছেন। তবে ওমর সানীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি জায়েদ খানকে চড় মেরেছি। কিন্তু কী কারণে মেরেছি, সেটাও তো জানতে হবে সবাইকে। আর চড় মারার পর আমাকে মারতে সে পিস্তল বের করবে? কত্ত বড় সাহস!’ জায়েদ খানের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল- ডিপজলের ছেলের বিয়েতে ওমর সানী আপনাকে চড় মেরেছেন? এরপর আপনি তাকে মারার জন্য পিস্তল বের করেছেন? প্রশ্নের উত্তরে জায়েদ বলেন, ‘কে বলে এসব কথা? একদমই এমন কিছু হয়নি। আন্দাজে…এটা কোনো কথা। এসব মিথ্যা কথা। আমি চড় খেয়েছি, পিস্তল বের করেছি- কে বলেছে বলেন, আমি তার সঙ্গে কথা বলব। আমি তাদের মুখে এটা শুনতে চাই। এমন কিছুই হয় নাই। এসব মিথ্যা কথা।’
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী একজন চলচ্চিত্রশিল্পী বলেন, ‘ওখানে চলচ্চিত্রের খুব বেশি মানুষ ছিলেন না। আমরা কয়েকজন উপস্থিত ছিলাম। যত দূর জানতে পেরেছি, মৌসুমীর সঙ্গে নাকি জায়েদ খান খারাপ আচরণ করেছে। এটা নিয়ে জায়েদের ওপর ওমর সানী ভীষণ বিরক্ত ছিল। খারাপ ব্যবহার করার কারণে ডিপজলের কাছে বিচারও দিয়েছিল সানী। ডিপজল বলেছিলেন, থাক, বাদ দাও। মারামারি করার দরকার নাই। সামনে জায়েদ আর মৌসুমীকে কোনো ডিস্টার্ব করবে না। মৌসুমীর কাছেও যাবে না।’ ঘটনার ব্যাপারে অভিনেতা ও প্রযোজক ডিপজল বলেন, ‘আসলে বিষয়টি আমি জানিই না। জানার কোনো কারণও নেই। শত শত অতিথিকে অভ্যর্থনা জানানো এবং তাদের সাথে কুশল বিনিময় নিয়ে আমাকে ব্যস্ত থাকতে হয়েছে। একটি সামাজিক অনুষ্ঠানে এমন কোনো ঘটনা ঘটতে পারে বলে কোনো ভদ্রলোক বিশ্বাস করবে? যদি ধরেও নিই, তাদের মধ্যে কোনো মনোমালিন্য রয়েছে, তা হলে কি তারা একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে এসে এমন ঘটনা ঘটাবে? তারা তো শিল্পী, তারা জানে কোথায় কেমন ধরনের আচরণ করতে হয়। পুরো বিষয়টিই ভিত্তিহীন ও অসত্য। এত ক্ষুদ্র বিষয় নিয়ে কথা বলাও তো অশোভন।