দুজনার পরিচয় একটি অনলাইন ডেটিং ওয়েবসাইটে। সেখান থেকেই পেশায় শল্যচিকিৎসক ও ব্যবসায়ী এক ব্যক্তিকে বিয়ে করেন এক নারী। বিয়ের ১০ মাস পর জানা গেল, ওই শল্যচিকিৎসক পুরুষই নন! প্রতারণার অভিযোগ এনে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন স্ত্রী। ঘটনাটি ঘটেছে ইন্দোনেশিয়ায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই নারীর দাবি, অনলাইন ডেটিং সাইটে পেশায় চিকিৎসক ও কয়লা ব্যবসায়ী পরিচয় দেওয়া একজনের সঙ্গে আলাপ হয় তার। পরিচয়ের পর প্রায় তিন মাস তারা মেলামেশা করেন। তবে বিশেষ কোনো শারীরিক ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়নি দুইজনের মধ্যে। এরপরেই সেই ‘প্রেমিক’ বিয়ের প্রস্তাব দিলে তাতে সম্মতি দেন প্রেমিকা।
এরপর প্রেমিকের পরামর্শে গোপনে বিয়ে সারেন তারা। বিয়ে করেই দক্ষিণ সুমাত্রায় নতুন বাসায় ওঠেন তারা। তবে এরপর থেকে ওই নারী ও তার পরিবারকে টাকার জন্য চাপ দিতে থাকেন অভিযুক্ত। এভাবে তাদের কাছ থেকে প্রায় ১৮ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন বলে অভিযোগ ওঠে।
ভুক্তভোগী নারী জানান, নিজে ‘প্রতিষ্ঠিত’ ব্যবসায়ী হওয়া সত্ত্বেও এভাবে টাকা চাওয়া দেখে সন্দেহ হয় তাদের। এ নিয়ে ঝামেলা শুরু হয় দুই পক্ষের। এর মধ্যেই তিনি জানতে পারেন, যার সঙ্গে তার বিয়ে হয়েছে, তিনি আসলে পুরুষই নন। বিষয়টি জেনে যাওয়ায় তাকে দীর্ঘদিন বাড়িতে আটকে রাখা হয়। মেয়ের কোনো খোঁজখবর না পেয়ে প্রশাসনের দ্বারস্থ হন তার মা। পরে দক্ষিণ সুমাত্রা থেকে তাকে উদ্ধার করে পুলিশ।
প্রাথমিক তদন্তের পর স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, অভিযুক্ত ব্যক্তি চিকিৎসকের ডিগ্রি থেকে ব্যবসা, কোনো কিছুরই বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। এখন নিজের পরিবারের সঙ্গে রয়েছেন অভিযোগকারী নারী।