ঈদুল আজহা উপলক্ষে অনেকেই বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন, কেউ যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। সবার ঈদ নির্বিঘ্ন ও আনন্দময় করতে কাজ করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ঈদে নির্বিঘ্নে বাড়ি ফিরতে ১২টি নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। সবাইকে বিষয়গুলো মেনে চলার জন্য অনুরোধ করেছে সংস্থাটি।
নির্দেশনাগুলো হলো- ঢাকা মহানগরীতে দূরপাল্লার ও আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালের অভ্যন্তরে এবং বাইরের সড়কে বাস রেখে বা থামিয়ে যাত্রী ওঠানো যাবে না। যাত্রীরা টার্মিনালের ভিতরে থাকা অবস্থায় বাসের আসন গ্রহণ করতে হবে। সংশ্লিষ্ট বাসের প্রতিনিধিদের এ বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে।
ঢাকা মহানগরীতে আন্তঃজেলা ও দূর পাল্লার বাসগুলো টার্মিনাল সংলগ্ন প্রধান সড়কের অংশ দখল করে দাঁড়ানো যাবে না। ভ্রমণকালে ঢাকা মহানগরের প্রবেশ ও বাহিরের সড়কের গণপরিবহনগুলো শৃঙ্খলা মেনে চলতে হবে, যেন কোনো অযাচিত যানজটের সৃষ্টি না হয়। ঢাকা মহানগরী থেকে ছেড়ে যাওয়া দূরপাল্লার যানবাহনগুলোকে অতিরিক্ত যাত্রী ও মালামাল বহন থেকে বিরত থাকতে হবে।
আন্তঃজেলা পরিবহনের যাত্রী বা গমন প্রত্যাশীদের প্রধান সড়কে এসে অপেক্ষায় না থেকে টার্মিনালের ভিতরে অবস্থান করার জন্য আহ্বান করা হয়েছে। ঢাকা মহানগরী থেকে দূরপাল্লার রুট পারমিটবিহীন বা অননুমোদিত রুটে কোনো বাস চলাচল করতে পারবে না। বাসের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাই এ বিষয়টি কঠোরভাবে মেনে চলে কর্তৃপক্ষকে সহায়তা করবেন।
বাসের ভিতর যাত্রীদের অপরিচিত কারো কাছ থেকে কিছু না খাওয়ার জন্য পরামর্শ দিয়েছে ডিএমপি। সংশ্লিষ্ট যাত্রীদের অবশ্যই যানবাহনে টিকিট সঙ্গে রাখতে হবে। যাত্রীদের মালামাল নিজ দায়িত্বে সাবধানে রাখতে হবে।
কোনো যানবাহনেই ছাদের উপর যাত্রী বহন করতে পারবে না। যাত্রী তোলার ক্ষেত্রে বাসের চালকরা এমন কোনো অসম প্রতিযোগিতায় অংশ নিবেন না যেন সড়কের শৃঙ্খলা বিঘ্ন ঘটে ও জীবনহানীর সম্ভবনা থাকে। কভিডের প্রকোপ ঊর্ধ্বগতি থাকায় পরিবহন চালক ও যাত্রী সকলকেই যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে যাতায়াতের জন্য আহ্বান করা হলো।
প্রয়োজনে ট্রাফিক কন্ট্রোল রুম ০১৭১১-০০০৯৯০ অথবা জাতীয় জরুরি সেবায় ৯৯৯ এ ফোন করার জন্য অনুরোধ করেছে ডিএমপি।