নিজস্ব প্রতিবেদকটাঙ্গাইল
ঈদে অতিরিক্ত যানবাহনের চাপ ও সড়কে গাড়ি বিকল হওয়ার কারণে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে ২৫ কিলোমিটার এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। গতকাল বুধবার রাত থেকে রাবনা বাইপাস এলাকা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্বপ্রান্ত পর্যন্ত গাড়ির জটলা ছিল। আজ বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। যানজটের কারণে ঘরমুখী মানুষ ও গরু ব্যবসায়ীরা দুর্ভোগে পড়েছেন।
পুলিশ জানায়, গতকাল রাতে সড়কের একাধিক স্থানে যানবাহন বিকল হওয়ায় যানজটের সৃষ্টি হয়। যানজট নিরসনে পুলিশ এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত দুই লেনের সড়ক একমুখী (ওয়ানওয়ে) করেছে। ঢাকা থেকে উত্তরবঙ্গগামী যানবাহন এলেঙ্গা থেকে সেতুর দিকে যাচ্ছে। অন্যদিকে উত্তরবঙ্গ থেকে ঢাকামুখী যানবাহন সেতু পার হয়ে ভূঞাপুর–এলেঙ্গা হয়ে ঢাকায় যাচ্ছে। তবে উত্তরবঙ্গ থেকে আসা ঢাকাগামী গরুবাহী ট্রাক একমুখী সড়কের আওতায় বাইরে রয়েছে।
আজ সকাল ৯টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত এলেঙ্গা, কালিহাতীর পৌলী, টাঙ্গাইল শহর বাইপাস ও রসুলপুর এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, মহাসড়কে যাত্রীবাহী বাস, প্রাইভেট কার ও গরুবাহী ট্রাকের চাপ রয়েছে। তবে গত ঈদের তুলনায় সড়কে মোটরসাইকেলের চাপ তেমন চোখে পড়েনি। ঈদে মহাসড়কে মোটরসাইকেল চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারির কারণে সড়কে মোটরসাইকেলের সংখ্যা কম বলে জানিয়েছে ট্রাফিক পুলিশ।
গরু ব্যবসায়ী দেলোয়ার হোসেন বলেন, সিরাজগঞ্জ থেকে টাঙ্গাইল পর্যন্ত প্রচুর জ্যাম (যানজট)। গরুগুলো গাড়িতে শুয়ে পড়ছে। ঠিক সময় ঢাকা পৌঁছাতে না পারলে অনেক ক্ষতি হয়ে যাবে।
দিনাজপুর থেকে আসা গরুবাহী ট্রাকচালক বাবু মিয়া বলেন, ‘গতকাল রাত আটটায় সিরাজগঞ্জের নলকার কিছু আগে থেকে জ্যামে পড়েছি। সকাল সাড়ে সাতটার দিকে টাঙ্গাইলের কালিহাতী পর্যন্ত এসেছি। জ্যাম আর প্রচণ্ড গরমে অনেক কষ্ট হচ্ছে।’
বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলেন, ফিটনেসবিহীন বিকল হওয়া কয়েকটি যানবাহন সড়কের ওপর থেকে সরাতে সময় লেগেছে। এ ছাড়া ঈদের কারণে সড়কে অতিরিক্ত যানবাহনের চাপ রয়েছে। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলে আশা করেন তিনি।