মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) আকারে বাংলাদেশ বিশ্বের ৪১তম বৃহৎ অর্থনীতি। দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয়। সম্প্রতি কানাডাভিত্তিক সংবাদ প্রতিষ্ঠান ভিজুয়াল ক্যাপিটালিস্ট আইএমএফের তথ্যের আলোকে করা জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে।
বিশ্বের ৫০টি বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের তালিকায় দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ ছাড়াও রয়েছে ভারত। গত বছর এই তালিকায় বাংলাদেশ ছিল ৪২তম স্থানে। এই তালিকায় ভারতের অবস্থান ৬ষ্ঠ।
‘বিশ্বের ৫০টি বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ’ নামের শিরোনামে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) এর ভিজ্যুয়াল ক্যাপিটালিস্ট দ্বারা প্রকাশিত পরিসংখ্যানে এই তথ্য দেখা গেছে। এই তালিকায় ভারতের অবস্থান ৬ষ্ঠ।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্ব অর্থনীতির পরিধি (গ্লোবাল জিডিপি) ১০০ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। ২০২২ সালেই বিশ্ব অর্থনীতির আকৃতি (গ্লোবাল জিডিপি) হবে ১০৪ ট্রিলিয়ন ডলার।
এ বছর বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) ৩৯৭ বিলিয়ন ডলার, যা বৈশ্বিক জিডিপির ০.৪% এবং গত বছরের ৪০০ বিলিয়ন ডলারের তুলনায় কিছুটা কম। অন্যান্য দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোর মধ্যে শুধুমাত্র ভুটান ৩ বিলিয়ন জিডিপি নিয়ে সর্বনিম্ন বৈশ্বিক জিডিপির তালিকায় ১৬৩তম স্থানে রয়েছে।
২৫.৩ ট্রিলিয়র ডলার জিডিপি নিয়ে তালিকায় সবার ওপরে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এটি বিশ্বের মোট জিডিপির চার ভাগের এক ভাগ। ১৯.৯ ট্রিলিয়ন ডলার নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে চীন। যা বৈশ্বিক জিডিপির পাঁচ ভাগের এক ভাগ।
তালিকায় প্রথম দশ দেশের মধ্যে বাকি দেশগুলো হলো- জাপান, জার্মানি, যুক্তরাজ্য, ভারত, ফ্রান্স, কানাডা, ইতালি ও ব্রাজিল। ১.৮ ট্রিলিয়ন ডলারের জিডিপি নিয়ে ১১তম স্থানে রয়েছে রাশিয়া। তালিকায় ৫০তম অবস্থানে রয়েছে পর্তুগাল।
এছাড়া বিশ্বের ৫০টি ক্ষুদ্রতম অর্থনৈতিক দেশের তালিকায় সবার ওপরে রয়েছে টুভ্যালু। তাদের জিডিপি ৬৬ মিলিয়ন ডলার।
বিশ্বব্যাংকের মতে, উন্নয়নশীল দেশগুলোতে ২০২২ সালে মাথাপিছু আয়ের মাত্রা প্রাক-মহামারি প্রবণতা থেকে প্রায় ৫% কম হবে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দৈনন্দিন পণ্য ক্রয় করা ক্রমশ কঠিন হয়ে উঠছে এবং বিশ্বব্যাপী কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে সুদের হার বাড়াচ্ছে। শ্রীলঙ্কার সাম্প্রতিক ঘটনাবলী দেখায়, নিম্ন আয়ের দেশগুলো অর্থনৈতিক অস্থিরতার ঝুঁকিতে রয়েছে।