ইরানের রাজধানী তেহরানে আজ ত্রিদেশীয় গুরুত্বপূর্ণ শীর্ষ সম্মেলনে মিলিত হচ্ছেন ইব্রাহিম রাইসি, ভ্লাদিমির পুতিন ও রজব তাইয়্যেপ এরদোগান। ‘আস্তানা ফরম্যাটে’ তাদের ঘোষিত লক্ষ্য সিরিয়া নিয়ে নিজেদের মধ্যকার মতপার্থক্য দূর করা হলেও ইরানের পরমাণু চুক্তি, ইউক্রেন যুদ্ধসহ অনেক বিষয় নিয়েই তারা আলোচনা করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিশ্ব রাজনীতিতেও এই সম্মেলনের সুদূরপ্রসারী প্রভাব পড়তে পারে। শীর্ষ সম্মেলনে ইরান, রাশিয়া ও তুরস্কের তিন নেতা দ্বিপক্ষীয় বিষয়াদি নিয়েও আলোচনা করবেন।
তবে সিরিয়া ইস্যুটিই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হচ্ছে। এই ইস্যুতে তুরস্ক একদিকে, আর অন্য দিকে রয়েছে রাশিয়া ও ইরান। তুরস্ক ১ জুন ঘোষণা করেছে যে তারা শিগগিরই সিরিয়ার উত্তারাঞ্চলের দুটি নগরীতে নতুন সামরিক অভিযান শুরু করবে। তাদের ভাষায় এই নগরী দুটিতে ‘সন্ত্রাসী’ কুর্দি গ্রুপগুলো অবস্থান করছে।
রাশিয়া ও ইরান হলো সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ সরকারের সবচেয়ে বড় দুই সমর্থক। তাদের সহায়তাতেই ১০ বছর আগে শুরু হওয়া গৃহযুদ্ধের মধ্যেও বেশ ভালোভাবে টিকে আছেন তিনি।
এরদোগান তাল রিফাত ও মানবিজ নামের নগরী দুটিকে ‘সন্ত্রাসমুক্ত’ করতে ১৮.৫ মাইলের (৩০ কিলোমিটার) একটি নিরাপত্তা জোন সৃষ্টি করতে চান। মস্কো ও তেহরান নতুন হামলা চালানো থেকে আঙ্কারাকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে। ওয়াশিংটনও আঙ্কারার পরিকল্পনার বিরোধিতা করছে।
সম্প্রতি এরদোগান সিরিয়ার কুর্দি যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে তার ন্যাটোর অবস্থানকে কাজে লাগিয়ে বেশ সুবিধাজনক অবস্থানে চলে গেছেন। জুনের শেষ দিকে তিনি ফিনল্যান্ড ও সুইডেনকে কুর্দিদের সমর্থন থেকে বিরত করতেও তিনি সক্ষম হন।
সূত্র : আলজাজিরা